বিডিঢাকা ডটকম : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। এ বাহিনী টিকে নিয়ে তেমন কিছু লেখা হয় না। অথচ নীরবে তারা সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে দিনরাত মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারিপাশে সীমান্ত হওয়ার ৫৩ বিজিবি ও ৫৯ বিজিবির নওজোয়ানদের আবাসস্থল হয়ে যায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সৈনিকদের। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর সোনামসজিদ স্থল বন্দরে সূচারুরুপে তারা নিরলস দায়িত্ব পালন করছেন। আর করোনা পরিস্থিতিতে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে বিজিবি পুরুষ নারী নওজোয়ানদের। চাঁপাইনবাবগঞ্জে টানা ১৪’দিন লকডাউন শেষে এখন বিশেষ বিধিনিষেধ চলছে। সরকারি নির্দেশনা ও জেলা প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্দেশনা মেনে নাগরিক চলাফেরা করছে। তবে আম কেন্দ্র কোন সমস্যা নেই। ১২ জুন রাত পৌণে ১১ টার সময় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর বারঘরিয়া প্রান্তে মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি ফলক পিস্তল মোড়ে বিজিবি চেকপোস্টে দেখা যায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মাঝেই যানবাহন তল্লাশি চলছে। বিজিবির জন্য অস্থায়ী তাবু টাঙিয়ে ২৪ ঘন্টা চেকপোস্টে বিজিবি সদস্য লিটন এর নেতৃত্বে যানবাহনসহ চোরাচালান রোধে তল্লাশি করতে দেখা যায়। এই স্থান টিতে স্থায়ী পাঁকা দালান ও শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম দরকার। তপ্ত গরমে যেমন কষ্ট হয় বিজিবি সদস্যদের ঠিক তেমনি ঝড় বৃষ্টিতেও ঠিক মত শরীর বাঁচেনা বৃষ্টির পানিতে। আশাকরি ৫৩ বিজিবির উর্ধতন অফিসারবৃন্দ বিষয়টি অতি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে অস্থায়ী তাবু সরিয়ে স্থায়ী ভিত্তিতে চেকপোস্ট ঘর নির্মাণ করে দেবেন। ডি এম কপোত নবী গণমাধ্যম কর্মী ও ব্লগার আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ।