বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বন্দর উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে : সোনামসজিদ স্থলবন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টা জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন টাস্কফোর্স ও অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সচিবের দেড় হাজার একর জলাধার উদ্ধারের উদ্যোগ ডিএনসিসির নাচোল ওএমএস’র ডিলার বাছাই হলো লটারির মাধ্যমে গোমস্তাপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন নবাগত কৃষি কর্মকর্তা বাবুডাইংয়ে ‘কোল কমিউনিটি লাইব্রেরি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’ উদ্বোধন ভোলাহাটে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জুলাই অভ্যুত্থান : শহীদদের স্মরণে তারুণ্যের আইডিয়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন স্থগিত হওয়া ২২ ও ২৪ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা যথাক্রমে ১৭ ও ১৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: আহত-নিহতদের তালিকা তৈরিতে কমিটি গঠন

BANGLADESH INDIA COMMUNALISM এদেশ থেকে ওদেশে আক্রমণের মুখোশ ধর্ম

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৯ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

দুইজনাই বাঙালি ছিলাম ,দেখো দেখি কাণ্ডখান/তুমি এখন বাংলাদেশী,আমারে কও ইন্ডিয়ান !
দুই জনেই বাঙালি বন্ধু,বাংলা দু’জনেরই জান/দুইয়ের মুখেই বাংলা কথা,দু’য়ের গলায় বাংলা গান ৷
এই আমাদের দেশভাগে উদ্বাস্তুদের কল্পবিলাস। দেশভাগের আগুনের ভগ্নস্তূপ থেকে যাদের জন্ম, দেশভাগ, বাংলা ভাগকে তারা গ্রহণ করে না। ওদেশের প্রতিটি ঘটনা তাদের মনের মধ্যে স্পন্দন তৈরি করে। ঐ বাঙলায় সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনায় ওদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা বিপন্ন। শুভবুদ্ধির এই মানুষগুলো চায় মৌলবাদের ছোবল থেকে তার স্বজনদের রক্ষা করতে। চায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এ’প্রশ্নে দ্রুত সদর্থক পদক্ষেপ।
বাংলাদেশে জনগণের মধ্যে এখন মুসলিম ৯১.০৮ শতাংশ, হিন্দু ৭.৯৬ শতাংশ। ওদেশে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। ভারতীয় জনগণের হিন্দু শতাংশ ৭৯.৮শতাংশ, মুসলিম ১৪.২ শতাংশ। এদেশে মুসলিমরা সংখ্যালঘু। বাংলাদেশে
হিন্দুদের সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ান এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও সংখ্যালঘু। ভারতে মুসলিমদের সঙ্গে শিখ, ক্রিশ্চিয়ান, বৌদ্ধ, জৈন ও পার্শিরা সংখ্যালঘু। এই সময়ে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলানো হচ্ছে। বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছে সেই আরএসএস এবং বিজেপি। এই প্রশ্ন বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য।
যারা জনগণের কথা না ভেবে ধর্মকে সামনে রেখে ক্ষমতার বেসাতি করে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে।
বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রে তা আরও অনুভূতির এবং সংবেদনশীল। এই শরীর ছিঁড়ে তার জন্ম। এ দেশের বর্তমান শাসক শ্রেণি সংখ্যাগরিষ্ঠ সাম্প্রদায়িকতার প্রতিনিধিত্ব করে। এক আধিপত্যবাদী দর্শনের নিয়ন্ত্রণাধীন। এখানে পুঁজির স্বার্থ আর সাম্প্রদায়িক লক্ষ্য এক বিন্দুতে। কর্পোরেট তাই এর সমর্থক। এদেশে তারা সংখ্যালঘু মুসলমানকে তাড়াতে চায়। তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চায়। তার জন্য গণতন্ত্রকে ছুটি দিয়ে দমনপীড়নের বুলডোজার নীতি চালু করে।এদের বাদ দিয়ে হিন্দু রাষ্ট্র করতে চায়। মুসলিম ঘৃণা তৈরি করার জন্য সদা উচ্চারণ করে-‘হিন্দু খতরে মে হ্যায়’। এর পালটা অভিঘাত পরে বাংলাদেশে। এদেশের হিন্দু মৌলবাদীদের বিধ্বংসী কীর্তি উত্তেজনা তৈরি করে সীমানা পেরিয়ে ওই বাংলায়। পালটা আওয়াজ হয়—”ইসলাম খতরে মে হ্যায়’। ও দেশে মুসলিম মৌলবাদীদের প্রতিক্রিয়ার শিকার হয় সংখ্যালঘুরা। তাদের কেউ হিন্দু, কেউ ক্রিশ্চিয়ান, কেউ বৌদ্ধ। প্রমাণিত করে সেই অমোঘ সত্য-এক ধর্মের মৌলবাদ উৎসাহিত করে আরেক ধর্মের মৌলবাদকে।
এদেশের প্রধানমন্ত্রী একজন আরএসএস’র মতাদর্শী ও প্রচারক। খুল্লাম খুল্লা হিন্দুরাষ্ট্র লক্ষ্য। সেটা হবে মুসলিম ক্লিনসিং করে। মস্তিষ্ক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শীর্ষ নেতা বলেন-মুসলমানদের ঠিক করতে হবে তারা নতুন জাতীয়তাবাদী ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত ভারতে অন্তর্ভুক্ত হবে কি না। যার অন্তর্নিহিত অর্থ এদেশে থাকতে হলে মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে থাকতে হবে। এরা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে দেশের বিরুদ্ধে দ্রোহ হিসাবে চিহ্নিত করে। আরএসএস নাকি সাংস্কৃতিক সংগঠন! যার মূল অভিমুখ-হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্তান। অথচ এরাই দেশের সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ নির্ণয় করে। সরকারের ৭০ শতাংশ মন্ত্রী আরএসএস বন্ধনীভুক্ত। সি এ এ আইন লাগু করে। মুসলিমদের নাগরিকত্বের আবেদন করার অধিকারে তালা লাগিয়ে দেয়। রাজ্যের একজনও হিন্দু নাগরিকত্ব পায় না। সংবিধানকে ডিঙিয়ে নাগরিকত্বের সঙ্গে ধর্মকে যুক্ত করে। একবারও ভাবে না বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মৌলবাদ এ’রকম হিন্দুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিলে কি হবে। এদেশে সংখ্যালঘু মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করে। আজান, নামাজের আওয়াজ বন্ধে মসজিদের মাইকের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায়। তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মৌলবাদ সুযোগ পায় আজান বা নামাজের সময় দুর্গাপুজোর কাজ বন্ধ করবার ফতোয়া দিতে। মতলবী ধর্মান্ধরা এদেশে আওয়াজ তোলে-কোরান ছোড়ো ইয়া হিন্দুস্থান ছোড়ো । ওপারে স্লোগান তৈরি হয়-কোরান ধরো না হলে বাংলাদেশ ছাড়ো। মোদীর আশীর্বাদ ধন্য আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দেয়। অভিযোগ ওঠে ২৭% বেশি দামের। ব্যয় সাপেক্ষ, বিলম্বিত, ঝুঁকিপূর্ণ বলে বাংলাদেশের জনগণ এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানায়। দু’কোটি বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ‘উইপোকা’ চিহ্নিত করে তাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার প্রায়শই হুমকি দেয় ’ শীর্ষ নেতারা। ইঙ্গিত মুসলিমদের দিকে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর চাপ তৈরি হয়। এদেশে সরকার যখন কেবল হিন্দুদের স্বাভাবিক রাষ্ট্র, হিন্দুদের পূণ্যভূমি, পবিত্র ভূমি বলে ভারতকে চিহ্নিত করে তখন ওদেশে হিন্দুদের বলা হয়— এদেশে আর থাকার প্রয়োজন নেই। তোমার স্বাভাবিক রাষ্ট্র ভারতে চলে যাও। ক্রমাগত সব মুসলমানদের সন্ত্রাসবাদী বলাটা যখন অক্লান্ত অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায় তখন সীমান্তের ওপারের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মুসলিমরাও অভিমান, ক্ষোভে আক্রান্ত হয়।
লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে শাহরুখ খান ইসলামিক রীতি অনুযায়ী দুষ্ট আত্মার থেকে দূরে রাখার প্রতীক হিসাবে মৃতদেহে মৃদু ফু দেন। সঙ্ঘীরা রটিয়ে দেয় তিনি লতা মঙ্গেশকরের মুখের ওপর থুতু দিয়েছেন। ও বাংলায় শাহরুখের অসংখ্য গুণানুরাগী ক্ষুব্ধ হন। মালদা, মুশিদাবাদ,কাটিহার, কিষানগঞ্জ, আরারিয়া-মুসলিম প্রধান জেলাগুলোকে নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ষড়যন্ত্রের সংবাদ শুধু এদেশে সীমাবদ্ধ থাকেনা,ওপারে গিয়ে পৌঁছায়। কাঁওয়ার যাত্রায় দোকানিদের সাইনবোর্ডে নাম লিখতে হবে যাতে মুসলমান দোকানি চিহ্নিত হয় আর যাত্রা পথে মসজিদকে ঢেকে দেওয়া হয় কাপড় দিয়ে-ধর্ম ঘৃণার এই খবরও চলে যায় অন্য প্রান্তে। উত্তর প্রদেশের সম্ভলে মোঘল যুগের শাহী জামা মসজিদের নিচে মন্দির আছে বলে সার্ভের নির্দেশ, আজমিরে খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগার নিচে শিব মন্দির আছে বলে দাবি করা নতুন সাম্প্রদায়িক ন্যারেটিভ তৈরি হচ্ছে। এর আগেই তাজমহল, মথুরার শাহী ঈদগা মসজিদ, বেনারসের জ্ঞানব্যাপী মসজিদ একই রকমভাবে চিহ্নিত হয়েছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংস থেকে একের পর এক এইসব ঘটনা কে বলতে পারে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মৌলবাদকে পালটা মন্দির ধ্বংসের কাজে উৎসাহিত করছে না? বাংলাদেশে আজ যে ভারত বিরোধী উন্মাদনা তৈরি হয়েছে তার পিছনে যেমন সংখ্যাগুরু মৌলবাদ আছে তেমনি এদেশের হিন্দু মৌলবাদের তৈরি করা উসকানিও আছে। ধর্মনিরপেক্ষতা গুরুত্ব হারালে গণতন্ত্র, সমতা, সমানাধিকার আক্রান্ত হয়। বিভাজিত হয় শ্রমজীবী জনগণ। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তারাই।
যা রটছে তাই যে হচ্ছে এমন নয়। গুজবের এক বড় হাতিয়ার সামাজিক মাধ্যম। নিয়ামক ধর্মব্যবসায়ীদের তথাকথিত আই টি সেল। একথাও সত্য যে বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদ পুষ্ট হচ্ছে। হরকত উল জিহাদ(হুজি বি), জামায়েতে ইসলামী, জামাত উল মুজাহিদিন (জেএমবি) ইত্যাদি ক্রমশ মাটি পাচ্ছে। যোগাযোগ রয়েছে আইএসআই, হেপাজত ই ইসলাম, আই এস, আল কায়েদা, এ কিউ আইএস, লস্কর ই তৈবা ইত্যাদির। পনেরো বছরের ফৌজি শাসন ভারত বিরোধী প্রচারের একটা ভিত্তি তৈরি করেছিল। গঙ্গা, তিস্তার জল বণ্টন, সীমান্ত সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে একটা বিরুপ মনোভাব ছিলই। তাকে বিভিন্ন খাতে বইয়ে উগ্র সংখ্যাগুরু মৌলবাদ ভারত বিরোধী মনোভাবকে পুষ্ট করছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। সেটা হিন্দু মুসলমানের লড়াই ছিল না। কার্যত সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। কিন্তু ১৯৭১-এ বিশ্বের গরিবতম দেশ থেকে বাংলাদেশ ২০১৫ তে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হিসাবে নিজেকে উন্নীত করেছিল। ২০২৬ এর মধ্যে তা পরিণত হতো, ন্যূনতম উন্নত দেশে। দক্ষিণ এশিয়ার এই ছোট দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য। মায়নামার সীমানায় সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ডে আমেরিকা মিলিটারি বেস করতে চায়। চীনের ওপর নজরদারির লক্ষ্যে। আমেরিকা জামাতকে মৌলবাদী সংগঠন বলে মানে না। জামাতের বিরুদ্ধে হুঙ্কারী বিজেপি আবার আমেরিকার জুনিয়র স্ট্যাটেজিক পার্টনার! বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ সীমান্ত ভারতের সঙ্গে। আবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশ দ্বারা বদ্ধ। ৫৫টি নদীর যাতায়াত ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে। শিলিগুড়ি করিডর যা চিকেনস নেক নামে পরিচিত জিও পলিটিক্যালি এবং জিও ইকনোমিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর পূর্বে ভারতের ৭ রাজ্যের যোগ কেন্দ্র। সাইক্লোন,বন্যায় বাংলা জড়িয়ে থাকে এ বাংলায়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর ব্যবসার সম্পর্ক। দুই দেশের সম্পর্ক রক্ষায় দুই দেশের সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। এক সরকারকে রক্ষা করতে হবে দেশের শান্তি ,সম্প্রীতি অন্য সরকারকে ধর্মীয় বিভাজনের উত্তেজনা সৃষ্টির পথ থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্প্রতি চালু হওয়া নতুন লোকসভা ভবনে যে নতুন মুরাল বসেছে তাতে অখণ্ড ভারতের ছবি আঁকা হয়েছে। যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ সহ প্রতিবেশী দেশগুলি। এটা কি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে অপমানিত করে না ? উত্তেজনা তৈরি করে না?
যারা হিন্দুত্বের বড়াই করে, ভারতীয় জনগণের ৮১ শতাংশ হিন্দুকে ঐক্যবদ্ধ করার আওয়াজ দেয় ,তাদের জমানায় সত্যিই হিন্দুরা কি স্বর্গসুখে আছে? ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের এবছরের রিপোর্ট বলছে ভারতের ১২ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ যাদের আয় ১৮০ টাকার নিচে। বিগত চৌদ্দ মাসের তৈরির তরকারির দাম বেড়েছে ৪২.১৮শতাংশ। অক্টোবর মাসের ভাতের থালায় এদেশের মানুষকে ৫২ শতাংশ বেশি দাম দিতে হয়েছে। অথচ এই সময়ে মজুরি বেড়েছে শুধু ৯ শতাংশ। প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির খরচ বেড়েছে ৩০ শতাংশ। লেখাপড়ার খরচ বেড়েছে ৫০ শতাংশ। লোকের আয়ের অর্ধেক চলে যাচ্ছে খাবারের পেছনে। এনএসএসও’র রিপোর্টে ধরা পড়েছে যুব বেকারির হার ১০.২ শতাংশ। যুবতীদের ১১ শতাংশ। বলাবাহুল্য এই সব কিছুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কিন্তু হিন্দু মানুষই। যদিও এদের মধ্যে তফসিলি,আদিবাসী, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জাতিভুক্ত মানুষকে বিজেপি’র সংবিধান মনুসংহিতা হিন্দু বলে মানে না। তবে হ্যাঁ, এক হিন্দু কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে। মোদির আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে আদানি এক দিনে আয় করছে ১২১৬ কোটি টাকা। সাধারণ ঘরের হিন্দু মেয়েটা শ্রমিক হিসাবে পাচ্ছে টেনেটুনে ২৫০ টাকা।
এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লোকসভা ভোটের আগে বলেছিলেন ইসকন বিজেপি’র প্রচারক। ওসব ভুলে গিয়ে বাংলাদেশে ইসকন নেতার মুক্তির দাবি তুলেছেন। যিনি বাংলাদেশের ঘটনায় এখন উদ্বিগ্ন হচ্ছেন তিনি বাংলাদেশের লোকেরা পশ্চিমবাংলায় ঢুকে পড়ছে কেন সেই অভিযোগ তুলে স্পিকারের মুখে কাগজ ছুঁড়েছিলেন। এনপিআর সমর্থন আর ডিটেনশন সেন্টার নির্মাণের অনুমতি দিয়ে তিনি কিসের সময় বাংলাদেশে উত্তেজনা ছড়াননি ? খাগড়া গড়ের ঘটনায় তার পার্টি অফিসে বিস্ফোরণ হয়েছিল। এ রাজ্যে সন্ত্রাসবাদের ঘটনায় একের পর এক তার দলের নাম জড়িয়েছে। যার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রয়েছে। জাল নোট থেকে গোরু চুরি, থেকে ফেনসিডিল এবং অন্যান্য মাদক। তার দল ও সরকারের প্রশ্রয়ে স্মাগলিংয়ের করিডর হয়েছে এ বাংলা। সদ্য তিহার ফেরত বাহুবলী তার জলজ্যান্ত প্রমাণ।
উত্তেজিত হবেন না। আক্রমণটা হিন্দুদের উপর নয়। আক্রমণটা মুসলমান, ক্রিশ্চিয়ানদের উপরেও নয়। আক্রমণটা শ্রমজীবি মানুষের উপর। আক্রমণের মুখোশটা ধর্মের। এদেশ থেকে ওদেশে মুখোশটা পালটে যায়। মুখোশধারীরা তাদের মুখোশের পিছনে আপনাদের শামিল করতে চায়। গরিব, সাধারণ হিন্দু, মুসলমান সে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু তাদের সর্বনাশ করে তাদের আগুনে হাত সেঁকতে চায় মৌলবাদ। নব্য উদারবাদ আর এর নতুন আধিপত্যবাদী অবতার হিন্দুত্বের মেলবন্ধন ঘটেছে। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী প্রবণতার বিরুদ্ধে লড়তে আদর্শগতভাবে তৈরি হন। সামাজিক যোগসূত্রে সেই আদর্শকে পৌঁছে দিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com