তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা : অপহরণের ২৫ দিন পর তাহিরপুরে অপহৃত কলেজছাত্রীকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী সেই কিশোর গ্যাং লিডার আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার ওই অপহরণ মামলার প্রধান আসামি পিকআপ চালক আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরিফ উপজেলার বাদাঘাট উওর ইউনিয়নের ভোলাখালী গ্রামের পিকআপ চালক কফিল উদ্দিনের ছেলে।
তাহিরপুর (সার্কেল) এএসপি মো. বাবুল আখতার জানান, থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তাহিরপুর-আনোয়ারপুর সড়কের মধ্যতাহিরপুর সড়ক হতে অপহরণ মামলার প্রধান আসামি আরিফকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার হেফাজতে থাকা অপহৃত কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
কলেজছাত্রীর বাবা-মা জানান, ২৫দিন যাবৎ অপহরণকারী চক্রের পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নেয়ায় আমার মেয়েকে জিম্মি করে একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে শেয়ার, কমেন্ট করে আমার পারিবারীক, সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ন করা, পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে দেয়াসহ আমার মেয়ের শিক্ষা জীবন, ব্যাক্তিগত জীবনের নিরাপত্তা হুমকি এমনকি আত্মহত্যার প্ররাচনার দিকে ধাবিত করে আসামি ও তাদের লোকজন নতুন করে সাইবার ক্রাইম করেছে।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, ভিকটিম উদ্ধারসহ প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ মামলায় আরো এক আসামি পলাতক রয়েছে তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে এবং চলমান তদন্তে যেসব অভিযোগ প্রমাণিত হবে ওই একই মামলায় সংশ্লিষ্ট আইনের ধারা যুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত,কলোনাকালীন সময়ে কলেজ বন্ধ থাকায় সুনামগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে থাকা এক মেধাবী কলেজ ছাত্রীকে তাহিরপুর উপজেলার ভোলাখালী গ্রামের কিশোর গ্যাং লিডার আরিফ হোসেন (১৭) নামে এক পিকআপ চালক প্রায়ই উত্যাক্ত করে আসছিলো। ১৬ জুন দুপুরের দিকে আরিফ তার কিশোর গ্যাংয়ের কয়েক সহযোগীর সহায়তায় ওই কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দিনভর খোঁজ না মেলায় আইনি সহায়তা পেতে ঘটনার রাতেই কলেজছাত্রীকে উদ্ধারে তাহিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি ) করা হয়।
এরপর তিনজনের নাম উল্লেখ করে আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ২১ জুন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ মামলা করেন কলেজছাত্রীর পরিবার।
মামলার পর অপহরণ করতে সহায়তা করার অপরাধে ওই মামলায় এজাহার নামীয় এক আসামি উপজেলার ভোলাখালী গ্রামের পিকআপ চালক কফিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।