যশোর সংবাদদাতা : স্বাস্থ্যবিধির কোনও বালাই নেই দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে বড় পশুর হাট যশোরের শার্শার সাতমাইল পশুহাটে আসা হাজার হাজার মানুষের মাঝে। এতে বেড়েছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও।
সরকার দেশীয় খামারিদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুহাট পরিচালনার অনুমতি দেয়। কিন্তু কারোর সেই নির্দেশের প্রতি নজর নেই। ফলে সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই হাট পরিচালনা করছেন ইজারাদাররা।
রোববার সরেজমিনে সাতমাইল পশু হাট ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ হাটে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে গরু কেনা-বেচা করতে। কিন্তু সেখানে মাস্ক ব্যবহার বা সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো সচেতনতা নেই কারও মধ্যে। এছাড়া সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে রাস্তার ওপর বসেছে পশুর হাটটি। এতে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। হাট তদারকিতে জনসাধারণের স্বাস্থ্যবিধি মানতে ইজারাদারদের পক্ষে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককর্মী থাকলেও শৃঙ্খলারোধ বা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কারো কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পশুহাটের যে ভয়াবহ চিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে নতুন করে আবারও এ হাট থেকে আশপাশের গ্রামগুলোতে করোনা সংক্রমণ ছড়াবে।
গরু কিনতে আসা জাফর জানান, খামারিদের কথা বিবেচনা করে এ মুহূর্তে গরু হাট চালু রাখা জরুরি। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ইজারাদারদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
সাত মাইল গরুহাটের ইজারাদার খতিব ধাবক জানান, কিছুদিন এ হাট বন্ধ থাকায় মানুষ কোরবানির গরু ক্রয় করতে পারিনি। এখন হাট চালু হওয়ায় গরু বেশি ওঠায় লোকসমাগম একটু বেশি হয়েছে। তবে বেচা-কেনা কম। গরুর হাটে এর চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যবিধি মানা যায় না। তারপরেও তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন নিয়ম মানতে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইজারাদারদের। রাস্তার ওপর যাতে পশুরহাট না বসে তার জন্য প্রয়োজনে কম গরু হাটে তুলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও যদি নির্দেশনা না মানে হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইউছুফ আলী জানান, দেশ এখন ক্রান্তিকাল পার করছে। এই মুহূর্তে মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে ঈদ পরবর্তী সময়ে আরও বড় ধরনের মৃত্যুর মিছিল দেখতে হতে পারে। সে জন্য হাট বাজার বিশেষ করে বর্তমানে পশু হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি শতভাগ মাস্ক পরিধান করা জরুরি।