এসএম রুবেল : চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জে সাদিয়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের অবহেলায় সুফিয়া বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যু। শিবগঞ্জের সাদিয়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সম্পূর্ণ ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রোগীর স্বামী শরিফুল ইসলাম থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা যায় বুধবার বিকেল আনুমানিক ৪,টার দিকে সাদিয়া ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসা দেওয়াই রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা ক্লিনিকের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে চিকিৎসক শফিউল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এবং এর আগেও ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা গিয়েছেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী পরে স্থানীয়রা জানান কোন ক্ষমতার জোরে দীর্ঘদিন যাবৎ বেশিরভাগই ভুল চিকিৎসা দিয়ে আসছেন একক ডাক্তার নিজেই মালিক নিজেই ডাক্তার আর কোন ডাক্তার নেই তার ক্লিনিকে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ সেই এভাবেই চালিয়ে আসছেন এবং রোগীদের কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে নানা অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে সেটিও জানা যায়। ভুক্তভোগীর রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি যাতে করে এই ক্লিনিক দ্রুত বন্ধ হয় এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান। এছাড়াও নিহতের স্বজনরা জানায়, বুধবার সকাল ৮টার দিকে পিত্তথলীর পাথর ও জরায়ুর টিউমার নিয়ে সুফিয়া বেগমকে সাদিয়া ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ভর্তি করার পরপরই চিকিৎসক শফিউল ইসলাম অপারেশন শুরু করেন। পরে চিকিৎসক পরিবারের সদস্যদের জানায়, রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়। ততক্ষণে রোগীর মৃত্যু হয়ে গেছে। স্বজনদের দাবি-চিকিৎসকের ভূল অপারেশনেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এদিকে স্থানীয় জনতা চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে গভীর রাত হলে মৃত রোগীর আত্মীয় স্বজনকে ডেকে মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং মীমাংসা সম্পন্ন হয় বলে জানা যায় মৃত রোগীর আত্মীয় স্বজনকে মুঠোফোনে ফোন দিলে জানতে পারা যায় কিভাবে তাদের মীমাংসা সম্পন্ন হয় রোগীর স্বজনরা জানান মৃত সুফিয়া বেগমের তিনটি সন্তান রয়েছে এর ভিতর একজন প্রতিবন্ধী রয়েছে বড় মেয়ের বয়স ১৩ ছোট মেয়ের বয়স ৮ বছর এই নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা ভাবনা করে ক্লিনিকের মালিক ডঃ শফিউল ইসলাম কে দাবি জানান ৫ লক্ষ টাকার, তাদের ভবিষ্যৎ বিশ্লেষণ করে কিন্তু দশ সালিশের মাধ্যমে ৮৫,হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসা সম্পন্ন হয় কিন্তু নিহত। সুফিয়া বেগমের পরিবার ওই অল্প টাকা তে সন্তুষ্ট নয় বলে জানান। এ বিষয় নিয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান নিহত সুফিয়া বেগমের পরিবারকে।