নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তাররোধে দূরপাল্লার বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যেকোনো উপায়ে ঘরে ফেরছে মানুষ। কিন্ত এই যাত্রাটা অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে বাস টার্মিনাল থেকেই ছাড়তে দেয়া হচ্ছে না কোনও দূরপাল্লার বাস। আর অধিকাংশ মানুষ পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।
সোমবার (১০ মে) ইফতারের পর থেকে রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে এবং তার আশপাশে থাকা কাউন্টারগুলোতে মানুষ ভিড় জমিয়েছে কিন্তু বন্ধ রয়েছে কাউন্টার। বাড়ির পথে যাত্রার জন্য একটি যানবাহনের আশায় দাঁড়িয়ে থাকছেন দীর্ঘ সময়। কাউন্টারগুলো বন্ধ থাকলেও কাউন্টারের দায়িত্বরতরা ঘুরছেন আশপাশে।
সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, কাউন্টারগুলো যেগুলোও খোলা আছে সেগুলো পুলিশের উপস্থিতিতে পর্দা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। অপেক্ষা শুধু পুলিশের অনুপস্থিতির। পুলিশ চলে গেলে যাত্রীদের আকর্ষণ করার চেষ্টা থাকলেও পুলিশ আসলে মুহূর্তে পরিবর্তন হয় বাস শ্রমিকদের আচরণ।
পুলিশ আসলে কাউন্টারে আশেপাশেও দাঁড়াতে দিচ্ছে না তারা। তবে বাস চলাচলে কঠোরতার সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছেন প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের চালকরা।
বাবুল নামে নোয়াখালীর এক যাত্রী জানান, ঢাকায় কাজের সুবাদে থাকা হচ্ছে। শুনেছি লুকিয়ে হলেও কিছু গাড়ি চলে। কিন্তু এখানে এসে দেখছি কোনো গাড়িই নেই। মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার থাকলেও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া ও ঝুঁকির কথা ভেবে যাচ্ছি না।
এদিকে বাস না পেয়ে অনেকে বাড়তি টাকা আর ঝুঁকি নিয়েই যাত্রা করছেন মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে। তবে সেসব গাড়ি টার্মিনাল বা আশেপাশে দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না।