ফয়সাল আজম অপু : চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরধরমপুর জাতীয় গোরস্থানের জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণের প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে গোরস্থান কমিটি। রবিবার বেলা ১২টায় জেলা শহরের বিশ্বরোড মোড়স্থ একটি অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গোরস্থান কমিটির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. আইজুদ্দীন। তিনি বলেন, ইউএনও মশিউর রহমানের নির্দেশে ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ভুট্টুর তত্বাবধানে গোরস্তানের জমিতে বাড়ি নির্মান করা হয়েছে। এমনকি ২৫টি বাড়ি নির্মাণের পাশাপাশি সেখানে আরো নতুন বাড়ি নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অথচ সরকারি সকল রেকর্ডে ৩.১১ একর জমি কবরস্থানের নাম রয়েছে। তিনি আরো বলেন, গ্রামটিতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। গ্রাম সংলগ্ন পূর্বপাশের জমিদারি শাসনামল থেকে জমিদার তরঙ্গিনী মুসলমান জনসাধারনের জন্য কবরস্থানের নামে জমিটি দান করে। সেসময় থেকেই জায়গাটিতে গ্রামবাসী মৃত ব্যক্তির কবর দিয়ে আসছে। এমনকি ভোলাহাট উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল বেওয়ারিশ লাশ এই কবরস্থানে দাফন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গোরস্থান কমিটির করা মামলায় জায়গাটিতে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণে আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা অমান্য করে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। বাড়ি নির্মাণ শুরুর পর থেকে কবরস্থানে কোন কবর দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, চরধরমপুর গোরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুর রহমান, সদস্য বজলু রহমানসহ অন্যান্যরা। মুঠোফোনে ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ভুট্টু বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। কে কিভাবে বাড়ি করছে, তারাই ভালো জানে। ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, রাস্তার ধারে যাদের বাড়ি ছিলো উচ্ছেদ করার পর তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে গোরস্থানে বাড়ি নির্মাণ করছে। রেকর্ডে সরকারি কবরস্থানের জমি হলেও দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না হওয়ায় তারা বাড়ি নির্মাণ করছে বলে জানান তিনি।