ফয়সাল আজম অপু : করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি প্রতিরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের আজ ৬ষ্ঠ দিন চলছে। কঠোর লকডাউন চলাকালেই শনিবার জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস ধরা পড়েছে ৭ জনের দেহে। তবে কয়েকদিনের লকডাউন জেলার মানুষ মেনে চলায় জেলায় সংক্রমনের হার নিম্নমুখী বলছেন সিভিল সার্জন। জেলা করোনা কমিটির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে লকডাউন বৃদ্ধির বিষয়টি। কমিটির সভার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত, বলে জানান সিভিল সার্জন ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. জাহিদ নজরুল চৌধূরী। জেলায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন। মফস্বলে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকরে রবিবার সকালে থেকেই মাঠে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। লকডাউনে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস ও ট্রেনসহ যানবাহন বন্ধ রয়েছে। মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ঘোষিত জেলায় বিশেষ কঠোর লকডাউন গত সোমবার রাত (২৫ মে) ১২টা থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউন চলবে ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত। সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী রবিবার সকালে জানান, জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস ধরা পড়েছে ৭ জনের দেহে। আক্রান্তরা ভারতীয় ও স্থানীয় রয়েছে। এসব ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস আক্রান্তদের আবারও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। কয়েকদিনের লকডাউন জেলার মানুষ মেনে চলায় জেলায় সংক্রমনের হার নিম্নমুখী। জেলা করোনা কমিটির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে লকডাউন বৃদ্ধির বিষয়টি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বর্তমানে করোনা রোগী চিকিৎসাধিন রয়েছে ৪৫১ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৫৬৭ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর ১ হাজার ১১৬ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং মারা গেছে ৩২ জন। ভারত থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে মোট ৮০জন। ভারত থেকে আসা মানুষদের সকলকে জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে এবং সোনামসজিদ ডাকবাংলোতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলায় লকডাউন অনেকটায় কার্যকর হয়েছে, জেলার মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।