ফয়সাল আজম অপু : চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের পাকা ইউনিয়নে পোড়া পাড়ায় ১৪ মে শুক্রবার সকালে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতিকারী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ককটেল বাজি, বাড়ি ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্তত ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায় তারা। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগে জানা গেছে, গ্রামের দুই প্রতিবেশী আগে থেকেই কিছু বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। পূর্ব শক্রতার জের ধরে গত কয়েকদিন আগে একটি ছাগল নিয়ে যায় এক পক্ষ। এই ঘটনার জের ধরেই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে তারা ব্যর্থ হন। এদিকে শুক্রবার সকালের দিকে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দুষ্কৃতিদল ককটেল, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করে। অপর পক্ষ চেষ্টা করলেও বোমা বিস্ফোরণ ও ধারাল অস্ত্রের মুখে টিকতে না পেরে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী আমবাগানে আশ্রয় নেয়। ভীত সন্ত্রস্ত নারী ও শিশুরাও দুষ্কৃতিদের তান্ডব দেখে বাড়িঘর ছেড়ে নিকটবর্তী গ্রামে চলে যায়। এক পক্ষের ১২টি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর করে ৫টি গবাদিপশু ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার মহিলাদের কাপড় রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, সীমান্ত ঘেঁষা এই গ্রামের বাসিন্দা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি তারা। পার্শ্ববর্তী গাইপাড়ার এক মাদক সম্রাটের কাছ থেকে শুক্রবার সকালে তারা শতাধিক ককটেল সংগ্রহ করে। এরপরই পোড়াপাড়ায় তারা এ তান্ডব চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও সীমান্তের এই গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। এর আগেও কয়েকবার এই এলাকাতে ব্যাপক ককটেল বাজি ও আগ্নেয়াস্ত্রেও ব্যবহার হয়েছে। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ হোসেনসহ থানার এসআই সাজ্জাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।