এমন প্রশ্ন এখন অনেকের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তার কিছুটা আভাস দিলেন সংগঠনটির আরেক নেতা ইসলামী বক্তা হাসান জামিল।
শনিবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে নয়টার দিকে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে হাসান জামিল এ কথা জানান। তিনি এও জানান, আজ তিনি সুনামগঞ্জে রয়েছেন বলে নারায়ণগঞ্জে আসতে পারেননি।
হেফাজতের নেতা হাসান জামিল লিখেন, ‘কদিন থেকেই বলছিলেন, একদম হাঁপিয়ে গেছি।’ পরামর্শ দিয়েছিলাম কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসেন। কিছু সময় নিরিবিলি কাটান। তিনি তাই করেছেন। সোনারগাঁয়ের এই হোটেলটা পছন্দের, হোটেলের সব স্টাফ উনাকে ভালোবাসেন! নিরিবিলি আর নিরাপদ ভেবেই অবকাশ যাপনে গিয়েছেন ২য় ভাবিকে নিয়ে। দুর্ভাগ্য, শিয়াল পালের হাতে পড়েছেন! যে বিষয়টা স্ত্রী, আপনজন, বন্ধুমহল সবাই জানেন তা নিয়ে ওদের কী তুঘলকি কাণ্ড! (আছি সুনামগঞ্জ, না হয় সাক্ষী হিসেবে নিজেই হাজির হতাম)।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৩ মার্চ) সকালে মামুনুল হক এক নারীকে নিয়ে সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর উত্তেজিত জনতা রিসোর্টে ঢুকে ওই নারী সঙ্গীসহ তাকে অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে মামুনুল হককে উদ্ধার করে।
পরে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে হেফাজতের নেতাকর্মীরা রয়েল রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা তাকে ওই রিসোর্ট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) তবিদ রহমান জানান, হেফাজতের নেতাকর্মীরা এসে হট্টগোল শুরু করলে মামুনুল হককে তারা ছেড়ে দেন। পরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা মামুনুল হক ও তার নারী সঙ্গীকে নিয়ে চলে যায়।
মামুনুল হক দাবি করেন, সঙ্গে থাকা ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার নাম আমেনা তৈয়াবা। ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন। যদিও ওই নারী নিজেকে জান্নাত আরা জান্নাত বলে পরিচয় দেন।