বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় মিষ্টি কুমড়া চাষ করে অধিক লাভের আশা করছেন এক তরুণ। তরুণের নাম শহিদুল ইসলাম, বাড়ি উপজেলার গোহালবাড়ী গ্রামে।
মো. নাসিরুদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইলেক্ট্রনিকস মিস্ত্রির পাশাপাশি ধান চাষও করতেন। কিভাবে মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকলেন, এ বিষয়ে তার বক্তব্য- অভাব অনটনের সংসারে ইলেক্ট্রনিকস মিস্ত্রীর কাজ করে কুলিয়ে উঠা যাচ্ছিল না। অগত্যা সোনাজোল মাঠে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান, বরই, টমেটো চাষ শুরু করি। কিন্তু লাভের পরিবর্তে লোকসানই গুণতে হয়েছে। এতে হতাশ হয়ে পড়ি। এমন সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সুলতান আলী ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা আমাকে মিষ্টি কুমড়া চাষ করার পরামর্শ দেন।
শহিদুল বলেন, তাদের পরামর্শে সাড়ে ১০ বিঘা জমিতে ভালো জাতের মিষ্টি কুমড়া লাগায়। যেখানে ১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে হতো ১০ হাজার টাকা, সেখানে মিষ্টি কুমড়া চাষে খরচ হয়েছে মাত্র ৭ হাজার টাকা। অল্প খরচে বিঘাপ্রতি ৭০ মণ মিষ্টি কুমড়ার ফলনের আশা তার। তিনি বলেন, আমার সাড়ে ১০ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা, এতে তার প্রায় ৭ লাখের উপরে।
এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, শহিদুল ইসলাম আগে ধান চাষ করতেন। এতে তার বিঘাপ্রতি খরচ বেশি হতো। কিন্তু আয় লাভজনক হতো না। এবার তিনি সাড়ে ১০ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। প্রচুর ফলন এসেছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় তার ভালো লাভ হতে পারে। তার ব্লকে শহিদুল ইসলামের মতো আরো অনেক চাষি মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভবান হবেন বলে তিনি জানান।