কক্সবাজার সংবাদদাতা : ঈদুল আজহার দিনে পর্যটক কম থাকলেও ঈদের দ্বিতীয় দিনে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সৈকতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। ঈদের ছুটি উপভোগ করতে পর্যটকরা এ সমুদ্র সৈকতে এসেছেন।
রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে অসংখ্য পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। তবে এবারের ছুটিতে সমুদ্র সৈকতে পর্যটক সমাগমের চিরচেনা সেই রূপ এবার নেই। তুলনামূলক অনেক কম পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে।
সৈকতের অন্যান্য পয়েন্টগুলোতেও দেখা গেছে, ব্যাপক আনন্দ-উচ্ছ্বাসে পর্যটকরা সময় কাটাচ্ছেন। কেউ গা ভেজাচ্ছেন সমুদ্রের নোনাজলে। কেউ বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। আর কেউ জেট-স্কি, বিচ বাইকসহ নানা রাইডে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ আপনমনে আল্পনা আঁকছেন বালিয়াড়ির বুকে।
ঢাকা থেকে আসা আরেক পর্যটক আশরাফ হোসেন (৫৪) জানালেন, যদিও এবার ভিড় অনেক কম। তবে মনে করেছিলাম পর্যটক সমাগম আরও কম হবে। তবুও একটু ফাঁকা বলেই বেশি ভালো লাগছে। অন্যান্যবার হোটেল-মোটেলগুলোতে যে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রবণতা দেখেছি, এবার সেই উপদ্রবও কম মনে হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, শনিবার (১০ জুলাই) পর্যন্ত হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজগুলোর প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কক্ষ খালি ছিল। তবে শনিবার কিছুটা এই চিত্র পাল্টেছে। আমরা আশা করছি, আগামী কয়েকদিন কিছুটা সমাগম বাড়বে।
পদ্মা সেতু, বন্যাসহ নানা কারণে এবার কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম কমেছে বলে জানান তিনি।
বরাবরের মতোই সমুদ্র সৈকতসহ আশপাশের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) চৌধুরী মিজানুজ্জামান জানান, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার একটু পর্যটক সমাগম কম এটা ঠিক। তবে যথারীতি কোনো পর্যটক যেন এখানে এসে হয়রানির শিকার না হয়, ভ্রমণের ভালো স্মৃতি নিয়ে যেন ফিরতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।
এ জাতীয় আরো খবর..