গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণ হয়। গত (১২ ফেব্রুয়ারী ) বুধবার শিশুটিকে তার নিজ বাড়িতে একা পেয়ে পানি খেতে চেয়ে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে। এই মর্মে শিশুর বাবা বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ৪ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করতে পারেনি গোমস্তাপুর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা জানান, তার ৯ বছরের শিশুটি তারা বাড়িতে না থাকায় এক নরপশুর দ্বারাই ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। খুবই দুঃখজনক ৪মাস পের হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ ধর্ষক মেহেদীকে (২০) আটক করতে পারে নি। তাদের অগ্রগতি দেখে তারা হতবাক হয়ে রয়েছে। কারণ এ ধর্ষককে শনাক্ত তারাই করেছে, পুলিশ করতে পারেনি।তার বাড়ি রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুরগঞ্জে।এটা শনাক্ত করে পুরো ঠিকানা পাওয়ার শর্তেও পুলিশ যে কেন তাকে আটক করছে না।সেই প্রশ্ন এখন তাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে? তারা যদি এটা না করতে পারে,তারা তীব্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,যে-কোন কৌশলে হোক ওই অভিযুক্ত ধর্ষক মেহেদীকে পুলিশের হাতে তুলে দিবে।তারা এ ধর্ষকের ফাঁসির দাবি করেন। অভিযুক্ত ধর্ষক মেহেদী’র আপন চাচা আব্দুল বাসির বলেন, তার ভাতিজা মেহেদী ও তার ভাই সাদিকুল ইসলামসহ তার পরিবারের সকলে দুই মাস থেকে আত্মগোপনে রয়েছে। তবে বিষয়টি তার জানা এবং তাদেরকে কিছুদিন বাইরে থাকতে বলেছে। তারা চেষ্টা করছে মেয়ে পক্ষ ও ছেলে পক্ষের সাথে একটা সমঝোতা করার। এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার(ওসি) তদন্ত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আমরা অভিযুক্ত ধর্ষককে শনাক্ত করতে পেরেছি।সে আত্নগোপনে রয়েছে,খুব শীঘ্রই তাকে ধরে ফেলবো বলে আশা করছি।