রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

চিনির ক্ষতিকর দিক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১
  • ৩৫১ বার পঠিত

বিডিঢাকা ডটকম : যারা মিষ্টিজাতীয় খাবার বিশেষ করে চিনি পছন্দ করেন তারা আজকেই এটিকে না বলুন। কেননা, এখন থেকে সতর্ক না হলে অদূর ভবিষ্যতে নানারকম ক্ষতি হতে পারে আপনার। চিনি ডায়বেটিক রোগীদের জন্য একেবারে বিষের সমতুল্য। এর পাশাপাশি ক্যান্সার, হৃদরোগ ও স্থূলতাকে ত্বরান্বিত করে এই পদার্থ।

আসুন তাহলে জেনে নেই চিনি আপনার শরীরে আরও কি কি ক্ষতি করে-

– অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে লিভারের চারপাশে অতিরিক্ত চর্বির একটি স্তর তৈরী হয়। এর ফলে লিভারের আকৃতির পরিবর্তনসহ লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

– চিনি বেশি খেলে শরীরে ক্যানসার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আয়ু কমিয়ে আনে এটি।

– গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষ যদি দৈনিক চিনি থেকে ১৫০ ক্যালোরি গ্রহণ করে, তাহলে তার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় ১.১ শতাংশ।

– বেশিমাত্রায় চিনি খেলে রক্তের প্রবাহে পরিবর্তন হয়। ফলে হার্ট ফেল করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

-অতিরিক্ত চিনি আপনার রক্তচলাচলে বাধা তৈরি করতে পারে। এটি ধমনির দেয়ালের পুরুত্ব বাড়িয়ে দেবার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায় ও এর ফলে দেহে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।

– অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়, কমে যেতে পারে স্মরণশক্তি ও হতে পারে আলঝেইমারের মতন রোগও।

– চিনিতে রয়েছে ফ্রুকটোস, যা বেশি মাত্রায় শরীরে থাকলে মানুষ মোটা হয়ে যায়।

– চিনি বা মিষ্টি খাবার বেশি খেলে যেমন শরীরের নানা ক্ষতি হয়, তেমনই এর ফলে আয়ুও কমে যায়।

– অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে বিষণ্নতা বেড়ে যায়।

– অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে আপনার ত্বকে খুব দ্রুত বলিরেখা পড়তে শুরু করে।

– বেশি চিনি খেলে শিশুদের মস্তিষ্ক ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একইসঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও কমিয়ে দেয় চিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com