বিডি ঢাকা ডেস্ক
মিষ্টি খেতে আমরা অনেকেই ভালোবাসি। চা, কফি, কোমল পানীয়, কেক, পেস্ট্রি কিংবা বিভিন্ন ফাস্টফুড—সব জায়গাতেই চিনি একটি সাধারণ উপাদান। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, নিয়মিত অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও লিভারের সমস্যা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। তবে আশার খবর হলো, চিনি খাওয়া বন্ধ করলে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শরীরে ঘটে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন।
প্রথম সপ্তাহ:
চিনি বাদ দেওয়ার শুরুতে মাথাব্যথা, মুড পরিবর্তন, এমনকি অল্প রাগারাগির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কারণ, শরীর আসক্তি কাটাতে গিয়ে একধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায়। তবে এক সপ্তাহের মধ্যেই শরীর ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
দ্বিতীয় সপ্তাহ:
দ্বিতীয় সপ্তাহে এনার্জির লেভেল বাড়তে শুরু করে। আগের মতো ঘনঘন ক্লান্তি বা অলসভাব আর থাকে না। অনিদ্রার প্রবণতাও কমতে থাকে।
তৃতীয় সপ্তাহ:
এই সময়ে ত্বকের অবস্থার উন্নতি চোখে পড়ে। অতিরিক্ত চিনি কমে যাওয়ায় ব্রণ বা অন্যান্য ত্বকের সমস্যা কমতে শুরু করে। একই সঙ্গে মেটাবলিজম ভালোভাবে কাজ করে, ফলে শরীরে বাড়তি চর্বি জমা কমে যায়।
চতুর্থ সপ্তাহ:
মাত্র এক মাসের মধ্যেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে। কোমর ও পেটের মেদ কমতে থাকে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া মন-মেজাজ থাকে সতেজ ও কর্মক্ষমতা বাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পুষ্টিবিদদের মতে, একেবারে হঠাৎ করে চিনি বাদ না দিয়ে ধীরে ধীরে এর ব্যবহার কমানো ভালো। যেমন—চায়ের চিনি কমানো, কোমল পানীয় বাদ দেওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা ইত্যাদি। আর চিনি বাদ দিয়ে প্রাকৃতিক মিষ্টি যেমন—ফল, মধু বা খেজুর বেছে নেওয়া যেতে পারে।
অর্থাৎ, মাত্র এক মাস চিনি ছাড়া জীবনযাপন করলেই শরীর অনেকাংশে সুস্থ হয়ে ওঠে। দীর্ঘমেয়াদে এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।