শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন

তানোরে সেচ না দিয়ে বোরো খেত নষ্টের অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

রাজশাহীর তানোরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটরের বিরুদ্ধে পুর্ববিরোধের জের ধরে বোরো খেতে সেচ (পানি) না দিয়ে ধান গাছ নস্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) আমিরপুর মৌজার আমিরপুর মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় বিএনপির এক নেতা এই গভীর নলকুপ নিয়ন্ত্রণ করছে।

এ ঘটনায় গত ১৪মে বুধবার ভুক্তভোগী কৃষক কামারগাঁ ইউপির আমিরপুর গ্রামের মৃত যোতিন্দ্রনাথ প্রামানিকের পুত্র খগেন প্রামানিক বাদি হয়ে অপারেটর খোকন মন্ডলের বিরুদ্ধে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কামারগাঁ ইউপির আমিরপুর মৌজায় গভীর নলকূপের আওতায় ভুক্তভোগী কৃষক এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছেন। এক বিঘা জমিতে সেচ দিতে তার কাছ থেকে দু’হাজার টাকা নিয়েছেন অপারেটর।এছাড়াও ড্রেন মেরামত,লাইনম্যান,ট্রান্সফরমার বিকল ইত্যাদি অজুহাতে কৃষকের কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা আদায় করা হচ্ছে।সেচ চার্জ বেশী নেয়ার প্রতিবাদ করায় অপারেটর ভুক্তভোগী ওই কৃষকের জমিতে গত ১৫ দিন ধরে সেচ (পানি) দিচ্ছেন না। ফলে, ফেটে গেছে জমি মরে গেছে জমির ধান। গত বুধবার সরেজমিন ওই জমিতে গিয়ে দেয়া গেছে, সেচ (পানি) না দেয়ায় জমি ফেটে চৌচির একই সঙ্গে ধানের গাছের (গোড়া থেকে আগা) পাতা পর্যন্ত মরে পাওয়ার পাশাপাশি পাতা লাল রং ধারন করেছে। ফলে, ওই ধান গুলো আর হবে না।অথচ পার্শ্বের সব গুলো জমিতে পানি রয়েছে সেই ধান গাছ গুলোতে শীষ বের হতে শুরু করেছে। কিন্তু পানি সেচ না দেয়ায় বর্গাচাষী অসহায় কৃষক খগেনের জমির দান গুলো আর হবে না। ফলে, কৃষক খগেনের প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।একই মাঠে সেচ না দেয়ায় অমলের দুই বিঘা ও কৃষাণের দেড় বিঘা জমির ধানগাছ মরে গেছে। এলাকার কৃষকরা বলেন, অপারেটরের চাহিদামত টাকা দেয়ার বিষয়ে কেউ মুখ খুললেই সেচ (পানি) না দিয়ে জমির ফসল নষ্ট করে দেন অপারেটর খোকন। অপারেটর এমন ঘটনা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ঘটিয়েছেন বলে জানান এলাকার কৃষকরা। অপারেটর খোকনের এক স্বজন জানান, অপারেটর নিয়োগ পেতে এক নেতাকে ৩ লাখ টাকা দিতে হয়েছে।

এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অপারেটর খগেন মন্ডল বলেন, খোকনের কাছে আলু চাষের সময়ের টাকা পাওয়া যাবে, সেই টাকা না দেয়ায় তার জমিতে (পানি) সেচ দেয়া বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। খগেন বলেন, আমার কাছে কোন টাকা পাবে না, আমি বোরো চাষের সেচ চার্জ বেশী হচ্ছে শুধু মাত্র এমন কথা বলার কারনে হঠাৎ করে আমার জমিতে সেচ পানি দেয়া বন্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার জমিতে সেচ পানি না দেয়ায় জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে, মরে গেছে জমির ধান। ফলে, তার প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত সালমান বলেন, এবিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com