বিডি ঢাকা ডেস্ক
বাংলাদেশে প্রতিবছর টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় প্রায় ৫ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার মানুষ মারা যায়। আক্রান্ত এবং মৃত্যু হারে সবচেয়ে বেশি শিশুরা। বিশ্বে প্রতিবছর আক্রান্ত হয় প্রায় এক কোটি মানুষ। তাদের মধ্যে মারা যায় লক্ষাধিক মানুষ।
বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিককদের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
সভায় আরো জানানো হয়, প্রধানত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং বিশেষ করে শহরের বস্তি আঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের বিপুলসংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে টাইফয়েড রোগ হয়। অনেকে সাধারণ জ্বর বলে অবহেলা করে অনেক দেরিতে যখন হাসপাতালে আসে তখন অনেক সময় করার কিছু থাকে না।
সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম শাহাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী ৪ লাখ ৯৭ হাজার ১৫৭ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৯০০ জন ও কমিউনিটি পর্যায়ে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৫৩ জন রয়েছে।
এই টিকা সম্পূর্ণ হালাল উল্লেখ করে সিভিল সার্জন জানান, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকা দেয়া শুরু হবে। চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে ১৮ কার্যদিবসের প্রথম দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং পরের দুই সপ্তাহ ১ নভেম্বর থেকে কমিউনিটিতে গিয়ে টিকা দেয়া হবে। এই টিকা শিশু-কিশোরদের পরবর্তী ৫ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। এই ক্যাম্পেইন সফল করতে এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং দক্ষ জনবলের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে।
সভা সঞ্চলনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতানা পাপিয়া। মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে টাইফয়েড সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. ফারহানা হক। এসময় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ইনজামাম উল হকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।