সাভার সংবাদদাতা : সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে পোশাক শিল্পে শোক দিবস ঘোষণা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মানের, ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের এক জীবনের ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে হতাহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো। শনিবার বিকেলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সন্ধ্যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে রানা প্লাজার বেদীর সামনে মোমবাতি জালিয়ে তাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও শ্রমিক সংগঠনগুলো জানায়, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার নয় বছর পূর্ণ হলেও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়নি। এটাকে দুর্ঘটনা বললে ভুল হবে, এটা একটি হত্যাকা-।
ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রয়োজনীয় সহায়তা, পুনর্বাসন এবং আহতদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা দেওয়ারও আহ্বান জানান তারা। শ্রমিক নেতারা আরও জানান, রানা প্লাজার এই ভবনে শুধু রানার কারখানাই ছিল না, এখানে আরও কয়েকজন মালিকের কারখানা ছিল। সেই কারখানাগুলোর মালিকরা কৌশলে সব রানার ওপর দোষ ফেলে দিয়েছে। এখন রানা জেলে বাকি মালিকরা অনায়াসে বিভিন্ন স্থানে কারখানা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবাইকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিবাদ সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আলম, বিল্পবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দ ব্যাপারী, সাভার রানা প্লাজা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।