বিডি ঢাকা ডেস্ক
বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন হত্যার রহস্য উদঘাটনের পথে পুলিশ।
সিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত রাতে ফিলিং স্টেশনের ভেতরে ইকবাল হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ গুরুত্বের সাথে তদন্ত চালিয়ে আসছিল। প্রাথমিকভাবে এটি একটি ডাকাতি বা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সৃষ্ট হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
তদন্তের অংশ হিসেবে ফিলিং স্টেশন এবং এর আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। দীর্ঘ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর, ফুটেজে এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘটনাস্থলে প্রবেশ ও বের হতে দেখা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ব্যক্তিই ইকবাল হত্যার মূল হোতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কুলু পেয়েছি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিকে আমরা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি এবং তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। আশা করছি খুব দ্রুতই আমরা এই মামলার একটি সুরাহা করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, “তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে অভিযুক্তের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে, হত্যাকারীর উদ্দেশ্য এবং এর পেছনের কারণ সম্পর্কেও আমরা তদন্ত করছি। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
নিহত ইকবাল হোসেনের পরিবার এবং সহকর্মীরা এই দ্রুত অগ্রগতির খবরে কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
দত্তবাড়ি এলাকাবাসী এবং ফিলিং স্টেশন সংশ্লিষ্টরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আতঙ্কে ছিলেন। তবে পুলিশের এই অগ্রগতি তাদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।