বরগুনা সংবাদদাতা : মা-বাবার ঝগড়া থামাতে গিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র মো. সুমন (১৪) বাবা আসাদুল খানের হাতে খুন হয়েছে। আমতলী থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছে। বাবা আসাদুল খান নিহত ছেলে সুমনের মরদেহ আমতলী হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে।
স্কুলছাত্র সুমন নিহতের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত সুমনের সহপাঠীরা ঘাতক বাবার শাস্তি দাবি করেছেন। ঘটনা ঘটেছে তালতলী শহরের টিএনটি সড়কে বুধবার দুপুরে।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলা শহরের টিএনটি সড়কের আসাদুল খানের সাথে তার স্ত্রী সেলিনা বেগমের পারিবারিক বিষয় প্রায় বিরোধ হতো। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাবা ও মা ঝগড়ায় জড়িয়ে পরে। এ সময় ছেলে সুমন বাড়িতে ছিল না। প্রাইভেট পড়তে তালতলী সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে যায়। সুমন বাড়িতে এসেই দেখে বাবা আসাদুল খান মা সেলিনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে যাচ্ছে।
এ সময় ছেলে বাবাকে ফেরাতে মায়ের সামনে দাড়ায়। ওই মুহূর্তে ধারালো অস্ত্রের আঘাত স্ত্রী সেলিনা বেগমের শরীরের না লেগে ছেলে সুমনের কপালে লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই ছেলে সুমন মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক বাবা আসাদুল খান ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান সংকটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ছেলের অবস্থা খারাপ দেখে বাবা আসাদুল ছেলে সুমনকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালে ছেলেকে রেখেই বাবা আসাদুল খান পালিয়ে যায়। পরে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কেএম তানজিরুল ইসলাম ছেলে সুমনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কেএম তানজিরুল ইসলাম বলেন, সুমনকে হাসপাতালে আনার পূর্বেই মারা গেছে। মা সেলিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারধর করতো। আমাকে রক্ষা করতে গিয়েই আমার ছেলে খুন হয়েছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবি করছি।
তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘাতক বাবাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।