বরিশাল সংবাদদাতা : আরটিপিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময়ে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৯৫ জন।
শনিবার (৭ আগস্ট) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রমণ তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে বরিশাল জেলায় ৭১ জন। এ পর্যন্ত এই জেলায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬০৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৯২৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছে ১৭৮ জন।
পটুয়াখালী জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৪০ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৯১ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৮৮ জন।
ভোলা জেলায় নতুন ১০৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ৪ হাজার ৮৫১ জন। ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ৫২ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৩১ জন।
পিরোজপুর জেলায় নতুন ৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৮৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৭৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯০৩ জন।
বরগুনা জেলায় নতুন কেউ শনাক্ত হয়নি। ফলে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৭৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৯ জন।
ঝালকাঠি জেলায় নতুন দুইজন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৮৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ৬৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২২২ জন।
মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১৫ জন উপসর্গ নিয়ে এবং দুজন করোনা রোগীসহ মোট ১৭ জন শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন। এ ছাড়া বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে একজন, পটুয়াখালী হাসপাতালে একজন, বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, ভোলা সদর হাসপাতালে তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা রোগী মৃত্যুবরণ করেন।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে ২৪ জন ভর্তি হন। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ২৭৭ জন চিকিৎসাধীন রোগী আছেন। যার মধ্যে ৯৭ জনের করোনা পজিটিভ, ১৮০ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ১৯২ জনের নমুনা আরটি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ জন পজিটিভ ও ১১৩ জন করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার) বিভাগে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২৮ জনের। আরটিপিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ। এ সময়ে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ৬২৪ জন।
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ২০২০ সালের ৯ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সেই থেকে শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৮১৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৬১৮ জন।
এ জাতীয় আরো খবর..