অনলাইন নিউজ : চলতি বছর যারা হজে যেতে চান, তাদের জন্য বুধবার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারিভাবে দুটি এবং বেসরকারিভাবে হজে যাওয়ার জন্য একটি প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সুত্র জানিয়েছে। সভা শেষে দুপুর দেড় টায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান প্রেস ব্রিফিং করে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবেন। তবে ডলার সংকটের প্রভাব পড়বে এবারের হজে। গত বছরের তুলনায় এবার ব্যয়ও বাড়বে হজযাত্রায়। কয়েক দিন আগে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
গত বছর হজে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৫৬ হাজার ৯৫২ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ এর খরচ হয়েছিল জনপ্রতি ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ খরচ হয় জনপ্রতি ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। হজে গমনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গত ১ জানুয়ারি এ বছরের জন্য সৌদি আরব-বাংলাদেশ হজ চুক্তি সই হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান হজচুক্তি-২০২৩ অনুযায়ী মহামারী-উত্তর পরিস্থিতিতে এ বছর বাংলাদেশের কোটার পূর্ণ সংখ্যক হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন। এ বছর সর্বমোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালন করবেন বলে জানান তিনি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, হজযাত্রীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি ৫০ শতাংশ সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স বহন করবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৮ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বয়সের সর্বোচ্চ সীমার শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ ৬৫ ঊর্ধ্ব হজযাত্রীরাও এ বছর হজে যেতে পারবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে হজযাত্রীর সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। বাংলাদেশ থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যাওয়া সব হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
এ বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ৮৯ হাজার ৩৮ জন জেদ্দা বিমানবন্দর হয়ে আগমন ও প্রস্থান করবেন। বাকি ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৮ হাজার ১৬০ জন হজযাত্রী মদিনা বিমানবন্দর দিয়ে আগমন ও প্রস্থান করবেন।
এ জাতীয় আরো খবর..