রংপুর সংবাদদাতা : আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। আলোচনা আর সমালোচনাকে পাশাপাশি নিয়ে চলছেন। আবার বলা যায় সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে বরাবরই বেরিয়ে যান। যেন জলে ঘুরে বেড়ানো হংসের মতো। গায়ে যার কাদা লাগে না। হিরো আলমও হংস হয়ে সামালোচনাকে কাদা বানিয়ে ফেলেছেন। দুনিয়ার কোথায় কি হচ্ছে হোক, তিনি চলছেন নিজের মতো করে।
শুক্রবার দুপুরে যখন বিমান থেকে নামলেন তখন বেসরকারি বিমান সংস্থার কর্মকর্তা থেকে কর্মীরা হিরো আলমকে ঘিরে ধরে মোবাইলের শাটার একের পর এক চাপতে থাকলেন। ভরে উঠল সকলের ক্যামেরায় সেলফি।
আকস্মিক কোট স্যুট পরে কেতাদুরস্ত হয়ে সৈয়দপুর যাওয়ার কারণ কী? জানা গেল মোবাইলে কথা বলে। আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম আঞ্চলিক ভাষার সংমিশ্রণে বললেন, ‘হামি তো ভাই সোদপুরে আসি নাই, আচছি রংপুরে। সোদপুরে প্লেন দিয়া আসার পর রংপুর গাড়িত আচছি। এইখানে ভাই হামাক পায়া মানুষ ব্যাপক খুশি, কি আর কমো।’
উদ্দেশ্য সম্পর্কে বললেন, ‘রংপুরোত তানভির ভাই নামের একজন ব্যবসায়ী হামাক নিয়া আচছে। উনার ছেলের খাৎনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান করি আইজ রাতে প্লেনে যামো ঢাকা।’
হিরো আলম জানালেন সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত রংপুরে ওই খাৎনা অনুষ্ঠানে থাকবেন। এরপর রাত ৯ টার ফ্লাইটে ঢাকা ফিরবেন। তিনি ছাড়াও অনুষ্ঠানে গিয়েছেন ‘বলবো না গো আর কোনোদিন খ্যাত’ সুকুমার বাউল। আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়ার এরুলিয়া গ্রাম থেকে খুব দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। ক্যাবল নেট ওয়ার্কের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হতেই তার ভাগ্য বদলাতে শুরু করে।