আলিফ হোসেন,তানোর : রাজশাহীর তানোরে ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার প্রতিনিধি স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী শুভেচ্ছা এবং কেক উপহার দিয়েছেন। জানা গেছে, ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্প্রতিবার সাংসদের পক্ষ থেকে তার প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপহার কেক গীর্জা প্রধানদের হাতে তুলে দিয়েছেন। অথচ তানোর-গোদাগাড়ী এই প্রথার প্রচলন ছিল না তিনি এমপি নির্বাচিত হবার পর থেকে প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলার প্রতিটি গীর্জায় শুভেচ্ছাসহ বড়দিনের কেক পাঠানেো শুরু করে তা অব্যাহত রেখেছেন। এই বছরও তিনি তানোর-গোদাগাড়ীর প্রতিটি হগীর্জায় শুভেচ্ছাসহ কেক পাঠিয়েছেন। এমপি ফারুক চৌধুরী তার বাণীতে বলেন, আমি খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই এবং কামনা করি তাঁদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। খৃষ্ট ধর্মের প্রবর্তক মহান যীশুখৃষ্টের জন্মদিন হিসেবে বড়দিন বিশ্বের সকল খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীর কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি দিন। বাংলাদেশেও দিনটি যথাযথ মর্যাদায় প্রতি বছর উদযাপন করা হয়। যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ মানুষকে অন্ধকার পথ থেকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে ইহলৌকিক শান্তি ও পারলৌকিক মুক্তির জন্য সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত হতে সবাইকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।মহান যীশুখৃষ্টও একইভাবে তাঁর অনুসারীদের অসত্য ও অন্যায়ের পথ পরিহার করে পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে উপদেশ দিয়েছেন। শুভ বড় দিন একটি সার্বজনীন ধর্মীয় উৎসব। আর প্রতিটি ধর্মীয় উৎসবের অন্তর্লোক হচ্ছে সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও শুভেচ্ছা। মহামানবদের প্রদর্শিত পথ অনুসরণই বয়ে আনতে পারে সার্বিক কল্যাণ। আমি বড়দিনের সকল আনুষ্ঠানিকতার সাফল্য কামনা করি। এদিকে শুভ বড় দিন উপলক্ষে সাংসদ প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না উপজেলার বিভিন্ন এলকায় গীর্জা পরিদর্শন ও খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।