রাজশাহী সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে মামি ও ভাগ্নেকে একই ঘর থেকে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনার পাঁচদিন পর সেই মামি আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। এখন তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তানোর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক উত্তম চন্দ্র কর্মকার তার প্রতিবেশি (সম্পর্কে মামি) এক বিধবা নারীর সঙ্গে প্রায় দুই বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন। গত ১ আগস্ট রোববার রাতে ওই নারীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পরের দিন সোমবার তাদের পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়।
কিন্তু থানায় গিয়ে কথিত ভাগ্নের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেবেন না বলে লিখিত দেন। পরে পুলিশ তাকে মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয় এবং উত্তমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।
গত শনিবার জামিনে মুক্ত হয়ে সেই মামিকে রাজশাহী শহরে ডেকে আনেন ভাগ্নে। কিন্তু আগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও সে সময় অস্বীকৃত জানায় উত্তম। এর পরই সঙ্গে থাকা ব্লেড দিয়ে হাত কেটে ও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান মামি। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে ভাগ্নে উত্তম চন্দ্র কর্মকার বলেন, আমি জামিনে মুক্ত হওয়ার পরে দেখা করতে চান মামি। দেখা করতে এসে মামি আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। আমি রাজি না হওয়াতে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে আমি তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, এর আগে বিধবা মামি ভাগ্নের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না করায় ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছিলো। এখনকার ঘটনাটি রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানেই আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।