আলিফ হোসেন: তানোর রাজশাহীর তানোর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমরুল হক এতে কপাল পুড়েছে আবুল বাসার সুজনের। জানা গেছে, আবুল বাসার সুজন করোনা দুর্যোগে মানবিক ও খাদ্য সহায়তা বিতরণ, এলাকার উন্নয়ন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে আর্থিক অনুদান প্রদান, প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের মাধ্যমে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরী করেছেন। পৌরবাসির অভিমত, সাধারণ মানুষ এবং ভোটারদের মধ্যে আলোচনা ও পচ্ছন্দের শীর্ষে ছিলেন তরুণ নেতৃত্ব, ব্যবসায়ী সুজন। মেয়র নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর, রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক পরিচিতি প্রয়োজন সেটা সুজনের ছিল। তবে সুজনকে ঘিরে তার চারপাশে একশ্রেণীর চ্যালা-চামুন্ডা, চাঁঙ্কু-পাঁঙ্কুদের ইস্পাত কঠিন চক্রব্যুহ গড়ে উঠে আর সেই চক্রব্যুহে তার কপাল পুড়েছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের অভিমত একজন ভাল নেতার চার পাশের মানুষ যদি খারাপ হয় তাহলে সেই নেতা ভাল থাকতে পারে না, আর একজন খারাপ নেতার চার পাশের মানুষ যদি ভাল হয় তাহলে সেই নেতা খারাপ থাকতে পারে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তানোর পৌর যুবলীগের এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, সুজন ভাই ভাল মানুষ এবং যোগ্য প্রার্থী এটা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহের অবকাশ নাই, কিন্ত স্থানীয় ও বহিরাগত একশ্রেণীর চাঁঙ্কু-পাঁঙ্কু চেলা-চামুন্ডাদের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি সাধারণ মানুষের মাঝে তাকে নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব সৃস্টি করছে, হাইকমান্ডও বিরক্ত হয়ে উঠেছে,এতে তার কপাল পুড়েছে। এসব চাঁঙ্কু-পাঁঙ্কুদের দ্বারা একটি ভোট হবে না তবে অসংখ্য ভোট নস্টের সক্ষমতা তাদের রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তানোর পৌর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, সুজন যোগ্য সেটা ঠিক তবে একশ্রেণীর গ্রহণযোগ্যহীন বিতর্কিত উঠতি বয়সী চ্যালা-চামুন্ড্যা, কথিত সাংবাদিক ও চাঁঙ্কু-পাঁঙ্কুদের নিয়ে দৌড়-ঝাঁপ করায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আদর্শিক নেতাকর্মীরাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠে এবং এদের কারণেই সে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছে বলে মনে করছে।