বিডি ঢাকা ডেস্ক
ঢাকায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে তার মরদেহ রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে আনা হয়।
সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩টা ২০ মিনিটে ক্যান্টনমেন্টের পাশেই নগরের উপশহরের তিন নম্বর সেক্টরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া বাসায় তার মরদেহ নিয়ে যান সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা।
এ সময় শত শত উৎসব মানুষ বাড়ির সামনে ভিড় করেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। বাড়ি থেকে তার মরদেহ জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজার শেষে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটেমরদেহ দাফন করা হয় সপুরা গোরস্থানে। জানাজায় অংশ নেন প্রাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে হাজার হাজার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মেট্র্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা কেরামত আলী, নায়েবে আমির ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলমসহ সেনা ও বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম, চাচা মতিউর রহমানসহ আত্মীয়-স্বজন এবং সাধারণ মুসল্লিরা। কয়েক হাজার মানুষ এতে অংশ নেন।এসময় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের জীবনী পড়ে শোনানো হয়। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম ও মামা মতিউর রহমান। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তহুরুল ইসলাম বলেন, আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি। তিনি সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। পাশাপাশি মাইলস্টোন স্কুলের এই বিমান দুর্ঘটনায় শিশুসহ আরও যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সবার জন্যই দোয়া চান তহুরুল ইসলাম।
এর আগে নিহত পাইলট তৌকিরকে এক নজর দেখতে তাঁদের ভাড়া বাড়ি, কবরস্থান এবং জেলা স্টেডিয়ামে শত শত নারীরাও ভিড় করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলের উপর প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়লে নিহত হন স্কটন লিডার তৌকিক ইসলাম সাগর।
সাগরের বাবা তহুরুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। তবে প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি রাজশাহী শহরে বসবাস করেন। তৌকির রাজশাহীর নিউ গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। তিনি ওই কলেজের ৩৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগ দেন ।