সুজানগর সংবাদদাতা : আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হলেও যৌতুক বাবদ মোটরসাইকেল পাত্রের দুলাভাইকে দিতে বলায় বিয়ে ভেঙে দেয় পাত্রীপক্ষ। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর তরুণ-তরুণীর (বর-কনে) মধ্যে শুরু হয় প্রেম। একপর্যায়ে শুরু হয় মেলামেশা। কিন্তু বিয়ে না করায় গত ২৭ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়ি অনশন শুরু করেন ওই তরুণী।
প্রেমিক শাহীন হোসেন সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের আন্ধারকোঠা গ্রামের মৃত আব্দুস শুকুরের ছেলে এবং গাজীপুরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। আর ওই তরুণী উপজেলার দুলাই সরকারি ডা. জহুরুল কামাল কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ওই তরুণী জানান, আড়াই বছর আগে শাহীনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে তারা একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন। পরিবার সেটি দিতে রাজিও হয়। কিন্তু শাহীনের পরিবার থেকে মোটরসাইকেলটি ছেলের দুলাভাই কাজেম হোসেনকে দেয়ার কথা বললে পরিবার বিয়ে ভেঙে দেয়। বিয়ে ভেঙে গেলেও শাহীন মোবাইলে নিয়মিত কথা বলতেন। একপর্যায়ে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিয়ের কথা বলে শাহীন তাকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতেও যান এবং অন্তরঙ্গ ছবি তুলে রাখেন। এক পর্যায়ে তাদের দৈহিক সম্পর্কও হয়। শাহীন ওই সময়ের দৃশ্যও ভিডিও করে রাখেন।
পরবর্তী সময়ে ওই তরুণী বিয়ে না করলে কোথাও যেতে রাজি না হওয়ায় শাহীন ওইসব ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তরুণী তার সঙ্গে যেতে বাধ্য হয়। এরমধ্যে গত ২৩ জুলাই বিয়ে করবেন বলে শাহীন তার দুলাভাই কাজেম আলীর মাধ্যমে তরুণীকে বাড়িতে আনেন। কিন্ত রহস্যজনক কারণে শাহীন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
রাশিদা জানান, শাহীন বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
শাহিনের মা শাহিদা খাতুন জানান, ঘটনার পর থেকে ছেলে বাড়ি আসছে না। ফোনেও যোগাযোগ করছে না। মেয়েটাকে নিয়ে বিপদে রয়েছি।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।