বিনোদন নিউজ : শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন লতা মঙ্গেশকর ( Lata Mangeshkar)। রবিবার সকালে ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। এদিন সকাল ৮.১২ মিনিটে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের সব চেয়ে প্রতিযোগিতাময় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে রয়ে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বীহীন এক সঙ্গীতসম্রাজ্ঞী হয়ে!
চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শিল্পী। সম্প্রতি অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তারপরেই দিতে হয় ভেন্টিলেশনে। সেখান থেকে আর ফেরানো গেল না লতাকে। বার্ধক্য়জনিত কারণে শেষ রক্ষা হল না। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এদিন থেমে গেল সব লড়াই।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইনদোরের এক সংগীত পরিবারে জন্ম হয় লতা মঙ্গেশকর। বাবা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন মারাঠি সংগীত জগতের সুবিখ্যাত ধ্রুপদী গায়ক। বাবার থেকেই প্রথম তালিম নেওয়া। মাত্র ১৩ বছর বয়সে একটি সিনেমার জন্য প্রথমবার গান রেকর্ড করলেও, তা পরবর্তী সময়ে ছবি থেকে বাদ পড়ে। ১৯৪৫ সালে মুম্বইয়ে পাড়ি দেন তিনি।
১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথম বার সিনেমায় গান গাওয়া। মরাঠি ছবিতে। মুম্বই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি ছবি ‘মজবুর’-এ গান। পরবর্তীতে আয়েগা আনেওয়ালা, প্যার কিয়া তো ডরনা কেয়া, আল্লা তেরো নাম, কঁহি দীপ জ্বলে – ছয় ও সাতের দশকে এসব গান জনপ্রিয়তার যে শিখর ছুঁয়েছিল, তা আজও অম্লান। লতার মৃত্য়ুতে তো একটি নয়, ভারতীয় সংস্কৃতিজগতের একাধিক যুগের অবসান ঘটল। ভারতীয় লঘুসঙ্গীতের জগতে বোধ হয় ভেঙে পড়ল গোটা গানের ঘরটিই।
ভারতের ৩৬ টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশি ভাষাতে গান গাওয়ার রেকর্ড একমাত্র তাঁরই। এত দীর্ঘ সময়ে নানা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মতো বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মানে তাঁর ঝুলি ভরা রয়েছে।