মৌলভীবাজার সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেড় বছর ধরে আটকে রেখে এক বিক্রয়কর্মীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে চন্দন নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে মৌলভীবাজার সদরের জগৎসী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে সকালে শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোডের হিরন্ময় প্লাজার তিনতলার একটি বাসা থেকে হাত-পা বাঁধা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় দোকানমালিকের মা সাধনা ধর (৬০) ও স্ত্রী পূর্ণা ধরকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। এসময় প্রধান অভিযুক্ত চন্দন পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, দেড় বছর আগে ওই কিশোরী অরেড ফ্যাশন নামের এক কাপড়ের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করতো। দোকানমালিক চন্দন ধর তাকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে পাঁচ থেকে ছয়মাস আগে সে ওই দোকান ছেড়ে চলে যায়। গত ৩১ মার্চ ফের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে দোকানের স্টোররুমে তাকে ধর্ষণ করেন।
কয়েকদিন আগে চন্দন ধর ভিকটিমকে আবার তার দোকানে অথবা রিসোর্টে যাওয়ার জন্য বলেন। কিশোরী বিষয়টি চন্দনের মা সাধনা ধরকে জানান। তবে তিনি সহযাগিতা না করে চন্দন ধরের স্ত্রী পূর্ণা ধরসহ সবাই তাকে বসতঘরে আটক করে রাখেন। এবং ওড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে মারধর করেন। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে মামলা করে।এসময় সাধনা ধর ও পূর্ণা ধরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে আসামি চন্দন ধরকে আটক করা হয়। ভিকটিম বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।