সমিতির সভাপতি কাজী ফয়েজুর রহমানের সভাপতিত্বে দফতর সম্পাদক ইনতাজ বিন হাকিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে আমাদের দাবি জানিয়ে আসছি। ২০১৮ সালে আমাদের ধর্মঘট ও অনশন চলাকালে সরকারের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই জাতীয়করণের দাবিতে চলতি মাস থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেয়া পটুয়াখালী জেলার মাদরাসা শিক্ষক মো. ফুরকান বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশের বেতন বঞ্চিত মাদরাসা শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। চাকরি আছে অথচ আমাদের বেতন নেই। তাই জাতীয়করণের দাবিতে মাদরাসা শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে জাতীয়করণের ঘোষণা না দেয়া হবে ততক্ষণ আমাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে।’
শিক্ষকদের অন্য দাবিগুলো হলো- কোডবিহীন মাদরাসাগুলো বোর্ড কর্তৃক কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্তকরণ, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করে আলিম শিক্ষক একজনের পরিবর্তে এইচএসসি পাশ একজনের অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রাথমিকের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় অফিস সহায়ক নিয়োগ, মাদরাসা শিক্ষকদেরকে পিটিআই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাকরণ, ইবতেদায়ি মাদরাসায় আসবাবপত্রসহ ভবণ নির্মাণ ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার স্থায়ী নিবন্ধনের ব্যবস্থাকরণ।
ধর্মঘটে সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা শাহজাহান, এ বি এম আব্দুল কুদ্দুস, আবু মূসা ভূঁইয়া, মুহা. বশির উল্লাহ আতাহারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সদস্য সচিব মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বক্তব্য রাখেন।
এ সময় পাঁচ শতাধিক মাদরাসা শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।