নিজস্ব সংবাদদাতা : আরও ছয়টি জেলায় শুরু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ছাড়াও এই সেবা এখন মিলছে নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও কক্সবাজার জেলাতে।বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে এসব জেলার ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে স্বাস্থবিধি মেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা এ বছরের ২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে মুজিববর্ষের প্রথম উপহার হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট সেবা জনগণের কাছে তুলে দেন তিনি।মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গঠনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে অভিবাসন সংক্রান্ত এসডিজি অর্জনে সরকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সব কার্যক্রমকে ডিজিটাল কার্যক্রমে রূপান্তরিত করেছে। দেশের অভ্যন্তরে ৬৪টি জেলায় ৭২টি পাসপোর্ট অফিস, ২৭টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, বিদেশে অবস্থিত ৮০টি বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের মাধ্যমে পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, কোভিড-১৯-এর স্বাস্থ্যঝুঁকি সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বজায় রেখে ধারাবাহিকভাবে দেশব্যাপী ই-পাসপোর্ট সম্প্রসারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে ৬৪টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এই সুবিধার আওতায় এসেছে। আজ ছয়টি আরপিও এর সংযুক্তির ফলে সর্বমোট ৭০টি আরপিওতে ই-পাসপোর্ট সুবিধা সম্প্রসারিত হলো। এর মাধ্যমে দেশের সব পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট সেবা পাওয়া যাবে।পাসপোর্ট পেতে কেউ যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা বাধার মুখে না পড়েন এবং কোনো অবাঞ্ছিত ব্যক্তি যেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট না পান, তা নিশ্চিত করার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি আর বক্তব্যে পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় পুলিশ ভেরিফিকেশন আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ করার নির্দেশনাও দেন।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও বাসন্তী চাকমা, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব শহিদুজ্জামান, পাসপোর্ট ও অভিবাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আইয়ুব চৌধুরী, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার সাইদুর রহমান খানসহ অন্যরাপরে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে মতবিনিময় করেন এবং তাদের বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।