ফরিদপুর সংবাদদাতা : ফরিদপুরের ‘বস’কে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারি সোহেল মাহমুদ। ‘বস’র দাম হাকিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। প্রতিদিনই ব্যাপারীরা আসলেও তেমন দাম বলছেন না। দীর্ঘ চার বছর আদর-যত্নে আর ভালোবাসা দিয়ে লালন-পালন করেছেন ‘বস’ নামের এই বিশাল আকৃতির ষাঁড়টিকে। করোনা মহামারির মধ্যেও পরম যত্নে নিজ সন্তানের মতো লালন-পালন করে আসছেন। আদর করে নাম রেখেছেন ‘বস’ । ‘বস’ বলে ডাকলেই মাথা নেড়ে সাড়া দেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে সবুজ কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল, ভূসি খাইয়ে বড় করেছেন। দেখতেও হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয়। বিশাল আকৃতির এই ষাঁড় দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন সোহেলের বাড়িতে। দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এই ষাঁড়ের মালিকের দাবি ফরিদপুরে এটাই এ বছরের সবচেয়ে বড় ষাঁড়। মালিকের বাড়ি ফরিদপুর জেলার কৈজুড়ী ইউনিয়নের তুলা গ্রামে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ষাঁড়টি লালন-পালন করা হয়েছে জানান খামারি সোহেল মাহমুদ। ৩২মন ওজনের এই ‘বস’কে বিক্রির জন্য ঢাকার গাবতলী হাটে তোলার ইচ্ছে তার। কিন্তু ১ জুলাই থেকে সারাদেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষছরয় চিন্তায় রয়েছেন। ঢাকা নিতে না পারলে সঠিক মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কা এই খামারির। কারণ, ফরিদপুরের স্থানীয় হাটে এই বিশাল আকৃতির ষাঁড় বিক্রি করতে গেলে সঠিক মূল্য পাওয়া যাবে না।
খামারি সোহেল মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ চার বছর আদর যত্ন করে ‘বস’কে বড় করেছি। আসা ছিল ঢাকা নিয়ে বিক্রি করার। সাঁড়টির ওজন ৩২মন। বর্তমানে ষাঁড়টির উচ্চতা ৫ফুট ৮ইঞ্চি, দৈর্ঘ প্রায় ১০ফুট। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮শ টাকা খরচ হয় ওর পেছনে। ইচ্ছে আছে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করার। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে সারাদেশ ব্যাপী লকডাউনের ঘোষনায় চিন্তিত আমি। কিভাবে ওকে বিক্রি করবো। কোরবানির পশুর হাট বসবে কিনা দু:শ্চিন্তায় ভুগছি। এবছর বিক্রি করতেই হবে। ওর পেছনে এখন অনেক খরচ হয়। করোনার কারনে গো-খাদ্যের দামও বেড়েছে প্রচুর। আমরা চাই সরকার খামারিদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশুর হাট করার অনুমতি দেয় তাহলে আমরা আমাদের সাঁড় গরু বিক্রি করতে পারবো এবং আমরা উপকৃত হবো।
এদিকে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরুল্লাহ মো. আহসান জানান, ফরিদপুর জেলায় ছোট-বড় এক হাজারের অধিক খামার রয়েছে। এসব খামারে প্রায় এবছর ৪৮হাজার ৩৪৯টি গরু-ছাগল কুরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনার কারনে আমরা হাটেগুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন করছি। হাটে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে আমরা সেদিকে খেয়াল রাখছি। এছাড়াও আমরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় অনলাইনে ও লাইভ ওয়েটে কুরবানির গরু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। খামারিরা তাদের গরুর ছবি, ওজন ও মূল্য নির্ধারন করে পেজে পোষ্ট দিয়েছে। ক্রেতারা সহজে গরু কিনতে পারবে।
এ জাতীয় আরো খবর..