সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ আম নিতে চায় রাশিয়া-চীন রাজশাহীতে গ্রামীণ ব্যাংকের মতবিনিময় বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর ৪৪৮ কোটি টাকা রাজশাহীতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সম্মেলন রাজশাহী মহানগরীতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ পাম্পগুলোতে ডিউটি পুলিশের রহনপুর রেলওয়ে শুল্ক স্টেশনের স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে : জিয়াউর রহমান এমপি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন : ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় জেলা নেতৃবৃন্দের চাঁপাইনবাবগঞ্জেলিয়াকত হোসেন স্মরণে আলোচনা সততা সংঘের অসচ্ছল ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি দিচ্ছে দুদক

টানা ১৯ দিনের বিধিনিষেধ শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে অন্যতম ব্যস্ততম আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলীতে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১
  • ২১২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ : টানা ১৯ দিনের বিধিনিষেধ শেষে বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। তাতে যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের পদচারণায় গতির সঞ্চার হয়েছে রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলীতে।

এদিকে, বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় খুশির কথা জানিয়েছেন পরিবহন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। বেশির ভাগ শ্রমিক জানান, বিধিনিষেধের কারণে আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় ঋণে জর্জরিত হয়েছেন তারা। কাউকে কাউকে দুই থেকে তিন মাসের বাসা ভাড়াসহ সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করেন, সরকারি অনুদান বা সহায়তা এলেও শুধু কাউন্টার শ্রমিকরা পেয়েছেন। নেতারা নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজনদের সরকারি অনুদান দিয়েছেন। সবকিছু থেকে পরিবহন শ্রমিকরা বঞ্চিত হয়েছে।

সাকুরা পরিবহনের কাউন্টারে বাবর নামের এক পরিবহন শ্রমিক বলেন, আজ সকালে গাবতলী থেকে আমাদের পরিবহন ছেড়ে গেছে। সরকার বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ায় আমরা খুশি। দীর্ঘদিন লকডাউনে আমাদের খুব কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। সরকারের এবারের নির্দেশনা অব্যাহত রাখলে আমরা পরিবহন শ্রমিকরা বেঁচে যাব।

দিগন্ত কাউন্টারের হাবু নামের এক শ্রমিক বলেন, সরকারের কঠোর লকডাউনে আমরা বিপদে পড়েছি। টানা লকডাউনে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। মাঝে মাঝেই না খেয়ে দিন পার করতে হয়েছে। আমাদের মালিকরা তাদের সাধ্যমতো সহায়তা করেছে। আমাদের সংগঠন থেকেও মাঝেমধ্যে সহায়তা করেছে। তবে চলতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণে পড়েছি। পরিস্থিতি এরকম স্বাভাবিক থাকলে আমাদের দুর্দশা কেটে যাবে।

রাসেল নামের দূরপাল্লার একটি পরিবহনের চালক বলেন, লকডাউন খুলে দেওয়ায় খুব খুশি হয়েছি। এতদিন খুব কষ্ট করে চলতে হয়েছে। অনেক টাকা ঋণ করে ফেলেছি। গাড়ি চললে আর আমাদের কষ্ট হবে না। আমরা সরকারি নির্দেশনা মেনেই গাড়ি চালাব। তারপরও যেন আর লকডাউনের কবলে পড়তে না হয়।

নজরুল নামের পটুয়াখালীগামী এক যাত্রী বলেন, আমার সাড়ে ১১টায় গাড়ি। ভালো সিট পেয়েছি। ভাড়া স্বাভাবিক অবস্থায় যেটা ছিল সেটাই নিয়েছে। কাউন্টার থেকে আমাকে জানিয়েছে নির্ধারিত সময়ে গাড়ি ছাড়া হবে।

শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জানান, আপাতত যাত্রী চাপ কম। তবে টিকিট ভালো বিক্রি হচ্ছে। এখান থেকে গাড়ি খালি গেলেও আসার সময় ভালো যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরের কাউন্টারগুলো প্রায় শতভাগ টিকিট বিক্রি করে ফেলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com