টাঙ্গাইল সংবাদদাতা : টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান মোর্শেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল পৌরসভার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। গ্রেপ্তারের পর তার বাসায় অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি ও দুইটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দক্ষিণের ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, শহরের সাবালিয়া এলাকার মৃত কোরবান আলীর ছেলে সৈয়দ আশিকুর রহমান আশিক(২৮) বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। তিনি টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান ওরফে হাজী মহসীন ওরফে মোর্শেদসহ ৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরে দুপুর পৌনে ২টার দিকে টাঙ্গাইল পৌরসভার সামনে থেকে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোশারফ হোসেনের নেতৃতে সদর থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশের একটি দল হাজী মোর্শেদকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর টাঙ্গাইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসান মাহমুদ রাসেলের উপস্থিতিতে আতিকুর রহমান ওরফে হাজী মহসীন ওরফে মোর্শেদের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় হাজী মোর্শেদের ঘর থেকে ফলস্ ছাদের উপর প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো একটি কম্বলের ভিতর থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন এবং একটি ৭.৬২ পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, আতিকুর রহমান মোর্শেদের বিরুদ্ধে বিগত ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে যুবলীগের দুই নেতাসহ বেশকয়েকজনকে হত্যা, পৌরসভার মেয়রকে মারপিট, ধর্ষনের চেষ্টা ও চাঁদাবাজি উল্লেখ্যযোগ্য।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে মোর্শেদের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করেন এক যুবক। এর পরিপ্রেক্ষিতে মোর্শেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সুপার বলেন, যেহেতু মোর্শেদ বর্তমানে কাউন্সিলর। তাই এ অভিযান যেনো প্রশ্নবিদ্ধ না হয় তাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।