অনলাইন নিউজ : এবার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই শক্ত অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সততা, যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে যাচাই-বাছাই করেই দলের একক প্রার্থিতা চ‚ড়ান্ত করছে আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিকেল চারটায় তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের মুলতবি বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, এ নিয়ে গত তিন দিনের মনোনয়ন বোর্ডের টানা বৈঠকে দলের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এমন কঠোর অবস্থান নিয়েই একক প্রার্থিতা চ‚ড়ান্ত করা হচ্ছে। সারাদেশে নারী প্রতিনিধিত্ব তৈরি করতে এবার যোগ্যতার বিচারে এগিয়ে রয়েছেন এমন অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী নারী নেত্রীকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে।
শনিবার তৃতীয় দিনের মুলতবি বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, শেখ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. মোঃ আবদুল রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, রশিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রাত অবধি দীর্ঘ বৈঠক করেও আট বিভাগের ৮৪৮ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলের একক প্রার্থিতা চ‚ড়ান্ত করা সম্ভব না হওয়ায় রবিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত বোর্ডের সভা মুলতবি করা হয় বলে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দু’তিন দিনের মধ্যে আট বিভাগের ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদের দলের একক প্রার্থী চ‚ড়ান্ত করা খুব কঠিন কাজ। কারণ এবার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনেক কিছুই যাচাই-বাছাই করেই প্রার্থিতা চ‚ড়ান্ত করা হচ্ছে। গত তিনদিনের প্রতিটি বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের সিদ্ধান্ত মেনে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান যেমন জানিয়েছেন, তেমনি দলের সিদ্ধান্ত কেউ অমান্য করলে আগামীতে তাদের দল ও মনোনয়ন কোনকিছুতেই রাখা হবে না- সেই কথাটিও কঠোরভাবেই উচ্চারণ করেছেন।
তাঁরা আরও জানান, দলীয় মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে একজন প্রার্থীকে বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন ও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সততা, যোগ্যতা ও এলাকায় জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করেই একক প্রার্থিতা চ‚ড়ান্ত করা হচ্ছে। কোন বর্তমান-সাবেক চেয়ারম্যান কিংবা মনোনয়নপ্রত্যাশীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম, অতীতে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছে কিংবা অনুপ্রবেশকারী- এদের চিহ্নিত করে তাদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হিসেবে দলের জন্য ত্যাগ, স্বচ্ছ ইমেজের জনপ্রিয় নেতাদেরই মনোনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শিক্ষাগত যোগ্যতাকেও এবার বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ দলের ত্যাগী-জনপ্রিয় নেতারাই এবার মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়ন বোর্ড অগ্রাধিকার দিচ্ছে।