বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

দেশের শ্রেষ্ঠ ছড়াকার, বর্ষিয়ান সাংবাদিক, শিশু সংগঠক না ফেরার দেশে চলে গেলেন দাদুভাই

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১
  • ৩০৩ বার পঠিত

মুফদি আহমেদ :না ফেরার দেশে চলে গেলেন দাদুভাই চিরবিদায় নিলেন আমাদের প্রিয় দাদুভাই। কিংবদন্তি ছড়াকার,নাট্যকার, শিশু সংগঠক, প্রবীণ সাংবাদিক,উত্তরবঙের কৃতিসন্তান রফিকুল হক দাদুভাই আর নেই (ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সকালে মুগদাপাড়ার নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি বর্তমান স্ত্রী ফাতেমা হক,দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার প্রথম স্ত্রী হামিদা হক মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। দাদুভাই তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে আজাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, কিশোর বাংলা, দৈনিক জনতা, দৈনিক রূপালী,সর্বশেষ দৈনিক যুগান্তরে ছিলেন। তিনি শিশু কিশোর যুব কল্যাণ সংগঠন চাঁদের হাটের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি কিশোর বয়সে রংপুরে লেখাপড়াকালীন সময় থেকেই তৎকালীন জনপ্রিয় শিশু কিশোর সংগঠন মুকুল ফৌজের সাথে যুক্ত হন। এছাড়াও তিনি পেশাগত অন্যান্য সকল সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি কর্মজীবনে আমিসহ দেশের খ্যাতিমান, অগণিত গুণী সংগঠক,সাংবাদিক,ছড়াকার, লেখক,সাংস্কৃতিক কর্মী,মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সৃষ্টির কারিগর। চাঁদের হাট, নর্থবেঙল জার্নালিস্ট ফোরাম, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি’র পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।এই সংগঠনগুলো প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। দাদুভাই’র চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

আজ বাদ আসর তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল দৈনিক যুগান্তর ও বাদ মাগরিব তাঁর সারা জীবনের আবাসস্থল ২০১ মধ্যবাসাবো সংলগ্ন বিশ্ব রোড জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত বছর পর পর দু’বার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে কর্মস্থল যুগান্তরে যোগ দিলেও বার্ধক্যসহ নানা জটিলতায় প্রায় ছয় মাস আগে মুগদার বাসায় পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। মৃত্যুর আগে তিনি স্ট্রোক করেন।
রফিকুল হকের জন্ম ১৯৩৭ সালের ৮ জানুয়ারি। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের কামালকাছনায়।
বাংলা শিশু সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রফিকুল হক দাদুভাই ২০০৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একই বছর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার, চন্দ্রাবতী একাডেমি পুরস্কার, নিখিল ভারত শিশু সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন।
তিনি যুগান্তরের ফিচার এডিটর ছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে ছিলেন। নব্বই দশকে প্রতিষ্ঠিত দৈনিক রূপালীর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে দৈনিক জনতার নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।এছাড়াও আজাদ, দৈনিক পূর্ব দেশ ও জনপ্রিয় সাপ্তাহিক কিশোর বাংলার সম্পাদক ছিলেন। আশির দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য ‘নিধুয়া পাথার কান্দে’ নামে একটি নাটক লিখেছিলেন তিনি, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ‘বর্গি এলো দেশে’সহ তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সাতটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com