শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

‘রাসেল নামটি শুনলেই যে ছবি সামনে ভেসে আসে…’

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৯৫ বার পঠিত
‘রাসেল নামটি শুনলেই যে ছবি সামনে ভেসে আসে…’
‘স্মৃতির পাতায় শেখ রাসেল’ গ্রন্থ হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের জন্মদিন আগামি কাল। ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাসায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর বিপথগামী সদস্যরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় এই শিশুকেও ছাড়েনি। বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ৫৮ বছর। বড় বোন শেখ হাসিনা দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে স্মরণ করেন শিশু রাসেলকে।

রাসেলের নাম রাখার স্মৃতিচারণ করে আজ (১৭ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত প্রিয় লেখক ছিলেন খ্যাতনামা দার্শনিক ও নোবেলজয়ী লেখক বার্ট্রান্ড রাসেল। তার বই পড়ে বঙ্গমাতাকে ব্যাখ্যা করে শোনাতেন জাতির পিতা। তাই বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গমাতা মিলে শখ করে আদরের ছোট ছেলের নাম রাখেন ‘রাসেল’।

শেখ হাসিনার কথায়, ‘নামটি শুনলেই প্রথমে যে ছবি সামনে ভেসে আসে তা হলো- হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণচঞ্চল এক ছোট্ট শিশুর দুরন্ত শৈশব; যে শিশুর চোখ হাসি-আনন্দে ভরপুর। মাথাভর্তি অগোছালো চুলের সুন্দর একটি মুখাবয়ব, যে মুখাবয়ব ভালোবাসা ও মায়ায় মাখা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিজীবনের অজানা-অদেখা গল্প নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’-এ তিনি তুলে ধরেন ছোট্ট রাসেলকে। মাত্র ১০ বছর ১০ মাসের জীবন তাঁকে যে গভীর ক্ষতবোধ দিয়েছিল তা সবসময়ই ফুটে ওঠে বড় বোনের কণ্ঠে, ‘রাসেল জন্মানোর পর আমরা ভাইবোনেরা খুব খুশি হই। যেন খেলার পুতুল পেলাম হাতে। ও খুব আদরের ছিল আমাদের। একটা ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলতো। ওইটুকু একটা মানুষ, খুব স্ট্রং পার্সোনালিটি।’

২০১৯ সালে রাসেলের জন্মদিনে আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা না বলা অনেক কথা ভাগাভাগি করেন। স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, ‘বন্দিখানায় থাকা অবস্থায় যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, সেই যুদ্ধের সময় যখন আক্রমণ হতো, রাসেল পকেটে সবসময় একটু তুলা রাখতো। নিজের কানে দেওয়ার পাশাপাশি ছোট্ট জয়ের কানেও তুলা দিয়ে দিতো, যেন ওই আওয়াজে জয়ের কোনও ক্ষতি না হয়। জয়ের প্রতি রাসেল খুব খেয়াল রাখতো। সবসময়ই তার সেদিকে বিশেষ নজর ছিল।’

কোমলমতি শিশু রাসেলসহ পুরো পরিবারকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের এক নির্মম, জঘন্য ও বিভীষিকাময় রাতে হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারী ও বিশ্বাসঘাতকদের হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্য শহীদ হন। সেদিন ছোট্ট শিশু রাসেলও খুনিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। রাসেল তো বাঁচতে চেয়েছিল। বাঁচার জন্য ঘাতকদের কাছে আকুতি জানিয়েছিল, মায়ের কাছে যাওয়ার কথা বলেছিল। মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ঘাতকরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com