বিনোদন নিউজ : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের পদত্যাগ চায় সমিতির সদস্যদের একাংশ। ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সোহান। এই নির্বাচন উপলক্ষে এফডিসিতে পরিচালক সমিতিসহ ১৭ সংগঠনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল; কিন্তু আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের কারণে সোহান এফডিসির ভেতরে ছিলেন। আর এতেই ফুঁসে উঠেছেন নির্মাতারা।
বিষয়টি ‘অপমানজনক’ উল্লেখ করেছেন পরিচালকরা। প্রশ্ন তুলেছেন, নির্বাচনে পরিচালক সমিতির সভাপতি হয়ে সোহানুর রহমান সোহান ওই নির্বাচনে কিভাবে দায়িত্ব পালন করেন? এমন প্রশ্নে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পরিচালকরা। তারা সোহানুর রহমান সোহানকে পদত্যাগ করতে বলেন। এ নিয়ে নির্বাচনের পরেরদিনও এফডিসি উত্তপ্ত ছিল।
সভাপতি পদে অনাস্থার জন্য পরিচালকরা স্বাক্ষর গ্রহণও করেছেন। ক্রমেই সোহানুর রহমান সোহানের পদত্যাগের দাবি জোরাল হয়ে ওঠে। অনাস্থা প্রকাশে সম্মতি প্রকাশ করে ইতোমধ্যে দেড় শতাধিক পরিচালক স্বাক্ষর করেছেন। জানা গেছে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই শ পরিচালক সম্মতি প্রকাশ করে স্বাক্ষর করলে ওই পদত্যাগের বিষয়টি কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে নির্মাতা এম আউয়াল পিন্টু বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘যেখানে আমরা অপমানিত হয়েছি, সেখানে সভাপতি হয়ে উনি কিভাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন? ওনার বয়কট করা উচিত ছিল। কিন্তু উনি করেননি। স্বাভাবিকভাবেই পরিচালকরা তার পদত্যাগ চাইছে। তবে পদত্যাগ এত সহজ নয়, কেননা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই শ পরিচালকের সম্মতি সংবলিত স্বাক্ষর লাগবে। যেটা কঠিন হতে পারে। আর পদত্যাগই যে সমাধান তা-ও নয়, অন্যকিছুও হতে পারে, অন্য কোনোভাবে সমাধান। ‘
দেড় শতাধিক পরিচালক যে অনাস্থাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন সেটি রয়েছে নির্মাতা নাসির মিলনের কাছে। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের জন্য অপমানজনক একটা ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সভাপতি সাহেবের নির্বাচনের দিন এফডিসিতে কোনো কাজ ছিল না, তাঁকে চলে আসতে বলা হলেও তিনি আসেননি। এখন নির্বাহী কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে, না হলে আমরা সাধারণ সদস্যরা মিলে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। ‘
এ বিষয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পরেরদিন সবাই একটু সেন্টিমেন্টাল হয়ে গিয়েছিল, যার কারণে এই স্বাক্ষর গ্রহণ করেছিল। এখন সব ঠিক হয়ে গেছে। আর পদত্যাগ তো চাইলেই হয় না, একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কাল কেবিনেট মিটিং হয়েছে, এখন সব ঠিক। ‘