পঞ্চগড় সংবাদদাতা : পঞ্চগড়ে দুই প্রেমিকার সঙ্গে একই সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনে সাত পাকে বাঁধা পড়েছে প্রেমিক রোহিনী চন্দ্র বর্মণ (২৪) নামের এক যুবক। এই ঘটনাটি ঘটে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার এলাকায়। দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করার ঘটনাটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
গত বুধবার দুই প্রেমিকার পরিবারের সম্মতিতে ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমিকা ইতি রানী (২০) এবং মমতা রানী (১৯) একই দিনে সামাজিকভাবে রীতি মেনে মণ্ডপে বিয়ে করেছেন। এদিকে এ বিষয়ে এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।প্রেমিক রোহিনী চন্দ্র বর্মন আটোয়ারী উপজেলার বলরাপুর ইউনিয়নের লক্ষীদ্বার এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মনের ছেলে। ওই ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানী এবং লক্ষীদ্বার পাড়ার টনোকিশোর রায়ের মেয়ে মমতা রানী।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বলরাপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রোহিনী চন্দ্র বর্মন। একপর্যায় প্রেমের সম্পর্কের জেরে কয়েক মাস আগে মন্দিরে গিয়ে সিদুর পরে বিয়ে করেন তারা দুজনে এবং বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখেন। এদিকে রোহিনী চন্দ্র বর্মন নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই ইউনিয়নের লক্ষীদ্বার গ্রামের টনোকিশোর রায়ের মেয়ে মমতা রানীর সঙ্গে।
এদিকে মমতা রানীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে প্রেমের সম্পর্ক ধরে গত ১২ এপ্রিল রাতে তার বাড়িতে যান রোহিনী এবং সেখানে দুজনকে একত্রে দেখে ফেলেন। মমতার পরিবারের লোকজন পরে তাকে আটকে রাখেন। পরবর্তী সময়ে রোহিনীর পরিবারের লোকজনকে খবর দিয়ে ১৩ এপ্রিল বিয়ের ব্যবস্থা করেন। বিয়ে দেওয়ার খবর শুনে তার বাড়িতে অনশন শুরু করেন প্রথম স্ত্রী ইতি রানী।বুধবার রাতে তিন পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পুনরায় সামাজিক ও আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি ও মমতা রানীর সঙ্গে রোহিনীর একসঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়। দুই বউ নিয়ে ঘরে তোলেন রোহিনী চন্দ্র বর্মন।
এ ব্যাপারে ইতি রানীর বাবা গিরিশ চন্দ্র বলেন, আমাদের কোনো অভিযোগ নেই রোহিনী পবিবারের লোকজনসহ তিন পরিবারের লোকজন মিলে আনুষ্ঠানিকভাবে মণ্ডপে বিয়ে হয়।
বলরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আমি ঘটনাটি প্রথমে ফেসবুকে দিখেছি পরবর্তী সময়ে শুনেছি যে ওই যুবক দুই মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে তুলেছে।