অনলাইন নিউজ : দেশের পুরো রেলপথকে বদলের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দেশকে এক গেজে রূপান্তরের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ লক্ষ্যে সব মিটারগেজ লাইনকে পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রেলভবনে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চুক্তি অনুযায়ী দেশের রেল যোগাযোগের উন্নয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্স গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড।
রেলের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্স গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেডের জিএম ইউজি অসানো।
অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘একটি উন্নত ও আধুনিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০৪৫ সাল পর্যন্ত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা একটি ভঙ্গুর রেল ব্যবস্থা পেয়েছি- সেখান থেকে রেল খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজে কনসালটেন্সি সার্ভিস নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী এসময় হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশাপাশি নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষ্য যাচাইকরণ ও বিস্তারিত নকশা তৈরি, নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা-লাকসাম রুটে কর্ড লাইন নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-তারাকান্দি-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর, যশোর-বেনাপোল রুটে বিদ্যমান লাইনের সমান্তরাল ব্রডগেজ লাইন নির্মাণ, ভৈরব বাজার- ময়মনসিংহ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজ অথবা ব্রডগেজে রূপান্তর, সান্তাহার-বগুড়া-কাউনিয়া-লালমনিরহাট সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজকে ব্রডগেজে রূপান্তর করণ প্রকল্পসহ মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা, সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরির লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ করবে বলে জানান।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে মোট ২৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।