বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা জনপদ বিভিষণের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত ও কৃষি নির্ভর। চলতি বছর বোর আবাদ করতে গিয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন এখানকার কৃষকরা। তাদের জমিতে সেচের জন্য বসানো গভির নলকুপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সেচের অভাবে পতিত পড়ে আছে প্রায় ৩’শতাধিক বিঘা জমি। এ নিয়ে বাধ্য হয়ে জমিতে কৃষকরা সম্প্রতি মানববন্ধনও করেন।
উপজেলার বিভিষণ গ্রামের মজিবুর রহমান জানান, নঁওগা জেলার সাদরুল আমিন চৌধুরী নামে এক ব্যাক্তি জমি ছিলো ওই এলাকায়। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০১১ সালে তার জমিতে সেচের জন্য গভির নলকুপ স্থাপন করেছিলেন। এরপর তিনি তার অধিকাংশ জমিই বিক্রি করে দেন। সেই সাথে গভির নলকুপটিও ইব্রাহিম নামে একজনকে হস্তান্তর করেন।
গভির নলকুপটির চালক ইব্রাহিম জানান, সাদরুল চৌধুরী জমি বিক্রির পর ডিপটিও আমাকে দিয়েছিলেন। তবে কারেন্টের মিটার পরিবর্তন করা হয়নি। যার কারনে পল্লী বিদ্যুৎ-এর লোকজন এসে লাইন কেটে দেয়। তখন তারা বলেছে যে ডিপের (গভির নলকুল) মালিকানা পরিবর্তন করতে হয়। অন্যথায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। প্রয়েজন থাকলে অফিসে যোগাযোগ করিও। এরপর অফিসে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এদিকে পানি ছাড়া ধান লাগাতে পারছে না কৃষকরা।
গোমস্তাাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নূহ বলেন, আমার কাছে ৪০-৬০ জন কৃষক এসেছিলো, পল্লী বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ায় জমিতে সেচ দিতে না পারার অভিযোগ নিয়ে।
আমার প্রশ্ন যেখানে প্রধানমন্ত্রী একইঞ্চি মাটিও যাতে ফাঁকা পড়ে না থাকে, সে দিকে খেয়াল করতে বলছেন, এমনকি তিনি বাসা বাড়ির ছাদেও ফসল করতে বলছেন। সেখানে শত শত বিঘা জমি পল্লী বিদ্যুৎ এর সিদ্ধান্তহীনতায় সেচের অভাবে পতিত আছে এটা দু:খজনক। তারা বিকল্প কোন ব্যবস্থা নিতে পারত, কৃষকদের আবাদের সময় পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্ত কিছুই করেনি।
কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে, পল্লী বিদ্যুৎ নাচোলের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সুভন কুমার মহন্ত জানান, সেখানকার গভির নলকুলের বিদ্যমান বিদ্যুৎ সংযোগের মালিকানা জটিলতায় সংযোগটি বিচ্ছন্ন করা হয়েছে। চলমান বেরো আবাদে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে দ্রুতই বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এদিকে কৃষকরা যাতে তাদের চাষাবাদ করতে পারেন, সেই লক্ষে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুন।