শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৬:২৯ অপরাহ্ন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রচেষ্টায় নাচোলে ফিস্টুলা রোগমুক্ত হলেন এক নারী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৯৫ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় এক নারী দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার মাধ্যমে ফিস্টুলা রোগমুক্ত হয়েছেন। শনিবার এক অনুষ্ঠানে তাকে ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা করা হয়।
এ উপলক্ষে উপজেলার আমজোয়ান কমিউনিটি ক্লিনিক চত্বরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ও ল্যাম্ব হাসপাতালের কারিগরি সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ, ল্যাম্ব হাসপাতালের প্রজেক্ট ম্যানেজার মাহতাব উদ্দিন লিটন। সূচনা বক্তব্য দেন নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিউটি বেগম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুর রহমান বিপ্লব।
ফিস্টুলা রোগ থেকে মুক্ত হওয়া ওই নারীও তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে পুনর্বাসনের জন্য ওই নারীকে ছাগল প্রদান করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে আরো সহযোগিতা করা হবে বলে জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রসবজনিত ফিস্টুলা মুক্তকরণ কার্যক্রমের আওতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন- বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্থ প্রসবের সময় যদি বাচ্চার মাথা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যোনিপথে আটকে থাকে তাহলে আশপাশের মাংশপেশী, যেমন মূত্রথলি ও কোনো কোনো সময় পায়ুপথে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এই সমস্ত মাংশপেশীতে পচন ধরে এবং সেখানে ছিদ্র হয়ে ফিস্টুলার সৃষ্টি হয়, যার ফলে মাসিকের রাস্তা দিয়ে অনবরত প্রস্রাব বা পায়খানা বা উভয়ই ঝরতে থাকে। সেক্ষেত্রে রোগী প্রসব বা পায়খানার কোনো চাপ বা বেগ অনুভব করে না, সবসময় কাপড় ভেজা থাকে। তার এই সমস্যা শুরু হয় বাচ্চা ডেলিভারির পর কিংবা তলপেট/জরায়ুতে কোনো অপারেশনের পর।
বক্তারা আরো বলেন, নারী জনন অঙ্গের ফিস্টুলা প্রতিরোধযোগ্য। তাই এই রোগ সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে। ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দেয়া যাবে না এবং ২০ বছরের আগে সন্তান নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভবতী হবার পর চিকিৎসকের পরামর্শে ন্যূনতম ৪ বার গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে হবে এবং সন্তান প্রসবের সময় অবশ্য প্রসূতি মাকে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com