বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলায় অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ, বাজারমূল্য ও মজুত কার্যক্রম তদারকি বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) কেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন বলেছেন, যারা অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুত করে রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন থেকে এইসব মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে। এসময় তিনি যে কোনো মূল্যে চালের বাজার চলতি মাসের শুরুর দিকে যেমন ছিল এখন থেকে কমিয়ে পুনরায় সেইরকম দামে বিক্রি করার জন্য চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান। এসময় তিনি চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের মূল্য যেন বৃদ্ধি না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত বাজার মনিটর করার নির্দেশনা দেন।
সভায় জেলা প্রশাসক সভাপতিত্ব করেন।
সভার একপর্যায়ে উপস্থিত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান জিয়া ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই সরকারের যেন বদনাম না হয় সেজন্য আপনারা খেয়াল রাখবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনÑ পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেনÑ স্থানীয় সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ও সরকারের উপসচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম; অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদ; সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. তাছমিনা খাতুন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেনÑ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী কার্যালয়ের উপপরিচালক ইব্রাহিম হোসেন, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ, নবাব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসেন, আনোয়ার অটোরাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন, এরফান গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, সাগর অটোরাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ মাসুদ সাগর, হক অটোরাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিলন, তাহমিদ অটোরাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তসিকুল ইসলামসহ অন্যান্য চাল ব্যবসায়ী।
কয়েকদিন থেকে চালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।
অটোরাইস মিল মালিকরা সভায় জানান, ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা চালের দাম বৃদ্ধি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা অভিযোগ করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় বহু লোক কোনো লাইসেন্স ছাড়াই প্রচুর ধান মজুত করে রাখেন, মিল মালিকরা যখন কৃষকের কাছে ধান না পায় তখন তাদের কাছে যায়। এই সুযোগে তারা ধানের দাম বেশি নেয়। ফলে বেশি দামে ধান কিনে বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, শুধুমাত্র জিরাসাইল চালের দাম বেড়েছে, মোটা চালের দাম বাড়েনি।