বিডি ঢাকা ডেস্ক
মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও দুই সদস্য প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে।
কক্সবাজারের টেকনাফের উলুবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ওই দুজন বাংলাদেশে ঢোকেন, যাদের হেফাজতে নেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ নিয়ে বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন মিয়ানমারের বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ দুজনের অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিজিপির আরও ২ সদস্য উলুবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে বেলা ১১টার দিকে এপারে ঢুকে পড়েন।
তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে আজ দুজন ও গতকাল ৬৪ জন প্রবেশ করেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের একটি স্কুলে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী এলাকা।
মিয়ানমার থেকে ছোড়া বুলেট ও মর্টার শেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারের বসতবাড়িগুলোতে। এতে সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ছে।
সীমান্তবর্তী এলাকার লোকজন সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। কৃষিসহ অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে যেতেও ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা।
সংঘর্ষের মধ্যে গত সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলীতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে এক বাংলাদেশি ও এক রোহিঙ্গা নিহত হন।