বিডি ঢাকা ডেস্ক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সবধরনের চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তবে সবচেয় বেশী বাড়ছে মোটা চালের দাম। ধানের বৃদ্ধির কারণে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী বলে খুচরা বিক্রেতা ও রাইস মিল মালিকরা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে পেঁয়াজের দামও বাড়তির দিকে রয়েছে। অন্যদিকে কাঁচামরিচসহ সবধরনের সবজির দাম কিছুটা কমেছে, কমেছে দেশী মুরগির দামও।
শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মার্কেটে আনোয়ার অটো রাইস মিলের শো-রুমে কথা হয় রাইস মিলটির স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হেসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, স্বর্ণা ও ২৮ জাতের ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। কোনো কৃষকের ঘরে কিছু মজুত থাকলেও দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার অজুহাতে তারা সেই ধান বাজারে ছাড়ছে না। তাদের ধারণা মজুত রাখলে সামনে আরো দাম বেশী পাবেন। তার শো-রুমের ম্যানেজার কাওসার আলী রুবেল জানান, ২৮ চাল গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৬২ টাকা থাকলেও এ সপ্তাহে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকা, জিরাসাইল ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা, নাজির সাইল ৮৪ টাকা ও বাঁশমতি ১০৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই দুটি চালের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।
মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান রহমান জানান, প্রতি কেজি ২৮ চাল ৬৪ টাকা, জিরাসাইল ৭৫ টাকা, চিকন স্বর্ণা ৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণ ৫০ টাকা, আতপ চাল ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, মসুর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০-১২০ টাকা, দেশী ছোলার ডালের দাম বেড়ে ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১০০-১১০ টাকা, মটর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ২০০-২১০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতিকেজি চিনি ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা, দেশী পেঁয়াজ ১৩৫-১৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০টাকা, খোলা আটা ৪২টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫-৫০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৬৭ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন ১৭৫ টাকা কেজি, ডিম ৫৪-৫৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, সকল প্রকার সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে। বর্তমানে টমেটো প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, ছিচিঙ্গা ৬০ টাকা, দেশী করলা ১০০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, শিম ১৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বাঁধা কপি ৭০ টাকা, কচু ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০, কাঁচা কলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০-৭০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কুমড়াজালি ও লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা করে।
এদিকে মুরগি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম জানান, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা, প্যারেন্স ২৯০-৩০০ টাকা, সোনালি ২৬০-২৭০ টাকা, লিয়ার ৩২০-৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলম জানান দেশী মুরগি গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা কেমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ টাকায়।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতাতারা জানান, ভালো মানের গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম আগের মতোই রয়েছে।