কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে আরও একটি মৃত তিমি ভেসে এসেছে। এটি লম্বায় ৫০ ফুট। শনিবার সকালে জোয়ারের সময় সাগরের পানিতে মৃত অবস্থায় ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
পরে বনবিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরে খবর দেওয়া হয়। এর আগে শুক্রবার আরেকটি মৃত তিমি ভেসে আসে। যার নমুনা সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, একদিন ব্যবধানে দুটি তিমির এভাবে ভেসে আসা আশঙ্কাজনক। এর আগে ১৯৮০ ও ১৯৯০ সালে দুটি বিশাল তিমি এভাবে ভেসে এসেছিল। দীর্ঘদিন পর আবার এমন বিশাল মৃত তিমি সৈকতে ভেসে এসেছে।
তিনি বলেন, সাগরে জাহাজের ধাক্কা বা জাহাজ থেকে ফেলা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য খাওয়ার কারণে তিমি দুটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে আমার ধারণা। দ্রুত অনুসন্ধান করে এদের মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করা জরুরি।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে নমুনা সংগ্রহের পর আগের মতো এ তিমিটিও মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। এছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না এখনই। ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
তিনি জানান, মাটিতে পুঁতে রাখার তিন সপ্তাহ পর তিমির কঙ্কাল তুলে সংরক্ষণ করা হবে।
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্স ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুলতান আল নাহিয়ান জানান, দ্বিতীয় তিমিটি লম্বায় ৫০ ফুট হবে। মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না এখনই। পরীক্ষা শেষে বলা সম্ভব হবে।