অনলাইন নিউজ : তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহককে সেবা দেওয়ার জন্য গত এক দশকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) যত দরপত্র ডেকেছে, তার প্রায় সবই পেয়েছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস লিমিটেড বা সিএনএস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ মোটরযানের কর ও ফি আদায়সংক্রান্ত কাজও পেতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রতিটি দরপত্রেই এমন কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সিএনএস ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে চড়া দামে তাদের সেবা নিতে হচ্ছে যানবাহনের মালিক ও চালকসহ সেবাগ্রহীতাদের।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) জানিয়েছে, বিআরটিএর এই কাজগুলো করার মতো অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আছে। তাদের ১ হাজার ৬০০ সদস্যের প্রায় সবাই এ ধরনের কাজ করার জন্য যোগ্য। তবে অযাচিত শর্তের কারণে অনেকে নিরুৎসাহিত হয়।
প্রতিটি দরপত্রেই এমন কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সিএনএস ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকে না।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এক দশকে বিআরটিএ থেকে সিএনএসের ব্যবসার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। এর বাইরে চালকের স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স সরবরাহের কাজ আছে ১২০ কোটি টাকার। এই কাজ পাওয়া ভারতীয় কোম্পানি মাদ্রাজ প্রিন্টার্সের বাংলাদেশি অংশীদারও সিএনএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনির উজ জামান চৌধুরীর ভাগনের প্রতিষ্ঠান লজিক ফোরাম। বর্তমানে সিএনএস বিআরটিএর পাঁচটি কাজ করছে। সিএনএসের এমডি মনির উজ জামান বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র—দুই দেশে ঘুরেফিরে থাকেন। বিআরটিএ সূত্র জানায়, সংস্থাটি বাইরে থেকে যেসব সেবা সহায়তা নিচ্ছে, তার দুটি দিচ্ছে সেনাবাহিনীর মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি। এগুলো হচ্ছে যানবাহনের ডিজিটাল নম্বরপ্লেট স্থাপন এবং যানবাহনের মালিকের ডিজিটাল নিবন্ধন কার্ড বা স্মার্ট কার্ড। মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি সরকারি প্রতিষ্ঠান বলে তাদের দরপত্রে অংশ নিতে হয়নি। তবে দরপত্রের মাধ্যমে যত কাজ দেওয়া হয়েছে, এর সবই সিএনএস পেয়েছে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সিএনএসকে একচেটিয়া কাজ দেওয়ার পেছনে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের একটি অংশ কাজ করে। তারা সিএনএসের অনুকূলে শর্ত জুড়ে দেয়। প্রতিবারই কোয়ালিটি ও কস্ট বেজড সার্ভিস (কিউসিবিএস) পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করে। এতে প্রথমে শর্তের বেড়াজালে ফেলা হয় প্রতিযোগীদের।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর একনেকের বৈঠকে কোনো ঠিকাদারকে একসঙ্গে একাধিক প্রকল্পের কাজ না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু বিআরটিএতে এই নির্দেশনার কোনো প্রতিফলন নেই।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, কারিগরি জ্ঞানসম্মত ব্যক্তিরা শর্ত তৈরি এবং ঠিকাদার নিয়োগে কাজ করেন। সবকিছু সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত বিধিমালা (পিপিআর) অনুযায়ী হয়। একটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শর্ত দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এমন মনোভাবের কথা তিনি জানেন না। একই প্রতিষ্ঠানের বারবার কাজ পাওয়ার বিষয়ে তাঁর ভাষ্য, ‘অন্যদের চেয়ে যোগ্য বলেই হয়তো তারা কাজ পাচ্ছে।’
দীর্ঘদিন ধরে একই প্রতিষ্ঠান সরকারি একটি দপ্তরের প্রায় সব কাজ পেলে এমনিতেই সন্দেহের উদ্রেক করে। এর মধ্যে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ব্যাহত করে, দরপত্রে এমন শর্ত জুড়ে দেওয়ার অর্থই হলো এর পেছনে যোগসাজশের দুর্নীতি আছে।
ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি
শর্তের বেড়াজাল, প্রতিবার প্রায় দ্বিগুণ বাড়ে দাম
সিএনএস যেসব কাজ করছে, এর মধ্যে মোটরযানের কর ও ফি আদায় কার্যক্রম সবচেয়ে বড়। ২০১০ সাল থেকে তারা এ কাজ করছে। এর জন্য প্রথম পাঁচ বছরে সিএনএস নিয়েছে ৭৮ কোটি টাকা। ২০১৬ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরে নিয়েছে ১৮৪ কোটি টাকা। আগামী পাঁচ বছরের জন্য ২১৮ কোটি টাকায় তাদের নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এ কাজের জন্য বিআরটিএ দরপত্র (ইওআই) আহ্বান করেছিল গত ১১ ফেব্রুয়ারি।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, প্রথমবার দরপত্রে অভিজ্ঞতার তেমন শর্ত ছিল না। ফলে সহজেই সিএনএস কাজ পেয়ে যায়। পরে প্রতিবারই এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা সিএনএসের অনুকূলে থাকে।
নথিপত্র বলছে, দরপত্রের প্রথম শর্ত হলো, ঠিকাদারের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শর্ত মোটামুটি কাছাকাছি। মূল বক্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশের কমপক্ষে ২০টি জেলার ২৫টি এলাকায় তফসিলি ব্যাংক বা আধা সরকারি ব্যাংক বা অটোনোমাস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রিয়েল টাইম অনলাইন কম্পিউটারাইজড কর বা রাজস্ব সংগ্রহের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সর্বশেষ তিন বছরে ৩৫ কোটি টাকার কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। চতুর্থ শর্ত-মোটরযানের কর ও ফি সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশের কমপক্ষে ৫টি তফসিলি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি থাকতে হবে বা নতুন সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করতে হবে।
সিএনএস ২০১০ সালে এই কাজ পাওয়ার পর বিভিন্ন সময় ১৮টি বেসরকারি ব্যাংক ও বিকাশসহ আরও বেশ কিছু আর্থিক সেবাদান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করে রেখেছে। এসব শর্ত সিএনএসকে কাজ দিতেই যুক্ত করা হয়েছে—এই দাবি করে সংক্ষুব্ধ পাঁচটি কোম্পানি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএতে অভিযোগ দেয়। এ কোম্পানিগুলো হচ্ছে আইবিএস-প্রাইম্যাক্স সফটওয়্যার লিমিটেড, লিডস করপোরেশন লিমিটেড, স্মার্ট টেকনোলজি বিডি লিমিটেড, টাইগার আইটি ও কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রধান সংগঠন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির প্রথম আলোকে বলেন, দরপত্রের শর্তে এমন কিছু রাখা উচিত নয়, যাতে একটি-দুটি কোম্পানিই কাজের যোগ্য হয়। এতে প্রতিযোগিতা ক্ষুণ্ন হয়। তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের দরপত্র আহ্বান করার সময় শর্ত ও স্পেসিফিকেশন তৈরিতে বেসিসের সহায়তা নিতে পারে। দরপত্র প্রক্রিয়ায় বেসিসের প্রতিনিধিও রাখা যেতে পারে। এতে সরকারই লাভবান হবে।
তবে সিএনএসের এমডি মনির উজ জামান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আগেরবারের শর্তের চেয়ে এবার বড় কোনো পরিবর্তন নেই। যোগ্য বলেই তারা কাজ পেয়েছে।
গাড়ির কর ও ফি ১৮টি ব্যাংকের ৬০০-এর বেশি শাখায় জমা দেওয়া যাবে বলে বিআরটিএ প্রচার করে। প্রতিটি শাখায় দুজন করে লোক, কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির জন্য সিএনএসকে বিলও দেয় বিআরটিএ। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় মোটরযানের কর ও ফি নেওয়া হয় না। সেখানে আলাদা লোক ও যন্ত্রপাতি নেই। বিআরটিএ সূত্র বলছে, তবে এনআরবিসি ব্যাংকের সব শাখাতেই কর ও ফি নেওয়া হয়। কারণ, সিএনএসের বেশির ভাগ ব্যবসায়িক লেনদেন এবং জমা টাকা ওই ব্যাংকের সঙ্গে। তবে সিএনএসের এমডির দাবি, সব কটি ব্যাংকের শাখায় তাঁরা কাজ করছেন।দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা করার একটি ব্যবস্থা চালু আছে বিআরটিএর মিরপুর কার্যালয়ে। এর নাম ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিআইসি)। এর সক্ষমতা বৃদ্ধি, যন্ত্রপাতি স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গত বছরের ১০ নভেম্বর সিএনএসের সঙ্গে ১০৫ কোটি টাকার চুক্তি করেছে বিআরটিএ। বিআরটিএ সূত্র বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া এই কাজ করে দেওয়ার আগ্রহ দেখালেও বিআরটিএ তাতে সাড়া দেয়নি।
বিআরটিএ কার্যালয়গুলোর সঙ্গে অনলাইন যোগাযোগ স্থাপনের নাম ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম (আইএস)। ২০০৯ সাল থেকে সিএনএস এই কাজ করছে। প্রথমে দুই বছর পরপর চুক্তি হতো। ২০১৯ সালে পাঁচ বছরের জন্য তাদের এই কাজ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এই কাজে ২৯ কোটি টাকার ব্যবসা জড়িত।
বিআরটিএর সার্ভিস পোর্টালের দায়িত্বেও সিএনএস। এর মাধ্যমে সংস্থাটির পুরো তথ্যভান্ডারের নিয়ন্ত্রণ সিএনএসের হাতে। এটি তারা পেয়েছে এটুআই প্রকল্পের অধীনে।
মনির উজ জামান চৌধুরীর দাবি, তাঁদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজ পেতে সহায়তা করেছে। তিনি বলেন, ‘বড় বড় সেতুর টোল আদায় করছি। আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায় বেড়ে গেছে।’
প্রতি পাতার স্ক্যান খরচ ৬ টাকা ২০ পয়সা
যানবাহনের নিবন্ধনসংক্রান্ত ফাইল স্ক্যান করে অনলাইনে আর্কাইভ করে রাখার জন্য বিআরটিএ ২০১৯ সালে দুই বছরের জন্য সিএনএসের সঙ্গে চুক্তি করে। ২৮ কোটি টাকার এই চুক্তির আওতায় প্রতি পাতা স্ক্যান করতে সিএনএস নেবে ৬ টাকা ২০ পয়সা।
এই দরকে অস্বাভাবিক বলছেন বিআরটিএরই কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, চুক্তির আওতায় বিআরটিএকে একটি গাড়ি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর নিবন্ধন খরচ এবং দুই বছর পর্যন্ত জ্বালানি খরচ এবং চালক সরবরাহ করবে সিএনএস। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তাকে এই জাতীয় কাজ দেখানোর জন্য এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে ভ্রমণ করানোর শর্তও রয়েছে চুক্তিতে। এই দুই শর্ত এখনো পালন করেনি সিএনএস।
কাজ একই, দর আলাদা
সিএনএসের সঙ্গে চুক্তিতে এমন সব ফাঁকফোকর রাখা হয়েছে, যাতে তারা গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করতে পারে। গত বছরের ১ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত কোন যানবাহনের বিপরীতে কী পরিমাণ ফি আদায় করেছে সিএনএস, তার একটা হিসাব পাওয়া গেছে।
কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ওই ১৮ দিনে চালকের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন হয়েছে ২৫ হাজার ৮৭৩টি। তা থেকে সিএনএসের আয় প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকা। প্রতিটি লাইসেন্সে তাদের আয় ৫৯ টাকা। একই সময়ে কন্ডাক্টরের (চালকের সহকারী) লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন হয়েছে ৪৫টি। এখানে তাদের আয় ১ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি লাইসেন্সে তারা আয় করেছে ৪০ টাকা।
গাড়ির কর প্রদান ও নবায়নের কাজে সিএনএস নেয় ৬০ টাকা। অথচ মোটরসাইকেলের কর নবায়নে ৫০ টাকা। গাড়ির কর দিতে হয় প্রতিবছর, আর মোটরসাইকেলের কর ১০ বছরে একবার দিতে হয়। অর্থাৎ, যে কাজের সেবাগ্রহীতা বেশি, সেটার ফিও বেশি নিচ্ছে।
এ বিষয়ে সিএনএসের এমডি মনির উজ জামানের দাবি, কিছু কিছু লেনদেনে বাড়তি খরচ আছে। এ জন্য একেকটা একেক রকম। এবার নতুন দরপত্রে সব লেনদেনের একই দর রাখা হয়েছে।
তবে বিআরটিএ সূত্র বলছে, এসব লেনদেনে বাড়তি খরচ হওয়ার কারণ নেই।
এ ছাড়া ব্যাংক বিনা পয়সায় বিআরটিএর টাকা আদায় করে। ব্যাংক এই টাকা তিন দিন পর্যন্ত নিজেদের কাছে রাখতে পারে। পরে চালানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করে। এভাবে বিআরটিএর হয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা কর ও ফি আদায় করেছে বিভিন্ন ব্যাংক। এ ছাড়া অগ্রিম আয়কর হিসেবে (জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জন্য) ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো আদায় করা হয়।
বিআরটিএ সূত্র বলছে, কোন কোন ব্যাংক কর বা ফি আদায় করবে, সেটাও ঠিক করে সিএনএস। তারা ১৮টি বেসরকারি ব্যাংক ও কয়েকটি আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে তাদের অংশীদার (পার্টনার) হিসেবে দেখায়। সরকারি টাকা কয়েক দিন রেখে ব্যাংক যে আয় করে, এর একটা অংশ কমিশন হিসেবে পায় সিএনএস।
জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই প্রতিষ্ঠান সরকারি একটি দপ্তরের প্রায় সব কাজ পেলে এমনিতেই সন্দেহের উদ্রেক করে। এর মধ্যে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ব্যাহত করে, দরপত্রে এমন শর্ত জুড়ে দেওয়ার অর্থই হলো এর পেছনে যোগসাজশের দুর্নীতি আছে। আর এই দুর্নীতির বোঝা চূড়ান্ত বিচারে জনগণের ঘাড়ে পড়ছে। তাই সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বা সরকারের ওপর মহল থেকে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।