তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় করেছেন সাংসদ প্রতিনিধি, কলমা ইউপির দুই বারের সাবেক সফল চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। আগামী ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়। জানা গেছে, ২৬ নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের ( ইউপি) বিভিন্ন এলাকার নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। অন্যদিকে একই দিন পাঁচন্দর ইউপির ইলামদহী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্ত্বরে ইউপি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাম কমল সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ওহাব হোসেন লালু, পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার, কলমা ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন, রবিউল ইসলাম, রাশিদুজ্জামান রাশেল, মুন্জুর রহমান, মোর্শেদুল মোমেনিন রিয়াদ ও জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।এদিকে মতবিনিময় সভায় তৃণমুলের নেতাকর্মীরা দায়িত্বহীন সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এরা নীতিহীন ও রাজনৈতিক বেঈমান। তারা বলেন, এরা নিজেদের পকেট ভারী করতে গিয়ে আদর্শ, নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে যেমন দলের ক্ষতি করেছে, তেমনি সাধারণ নেতাকর্মীদের বিপদগামী করেছে। এরা দীর্ঘদিন এমপির দুই বগলের নিচে থেকে নানা কৌশলে সাধারণ নেতাকর্মীদের এমপির পাশে যেতে না দিয়ে এমপিকে অন্ধকারে রেখে লুটপাট করে মোটা-তাজা হয়ে এখন এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। এমনকি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে রাব্বানী প্রকাশ্যে মামুনকে জাতীয় বেঈমান, মিরজাফর ও দালালসহ অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে, অন্যদিকে মামুন প্রকাশ্যে রাব্বানিকে বিএনপির গুপ্তচর, দুর্নীতিবাজ, মোনাফেক, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নারী নির্যাতনকারীসহ অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে, এখন তারাই আবার একে অপরের গলা ধরে ঘুরছে ও এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তাই আগামি সম্মেলনে কোনো ভাবেই এদের আর নেতৃত্ব আসতে দেয়া হবে না আবার তৃণমুলও তাদের মানবে না তাই আদর্শিকদের হাতে নেতৃত্ব দিতে হবে, এই জন্য সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আদর্শিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করার আহবান জানানো হয়।