আলিফ হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, আদর্শিক ও তরুণ নেতৃত্ব আ,ন,ম আরিফ রায়তান তপন আলোচনায় উঠে এসেছে। তিনি মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অন্যদের থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। অপরদিকে তপন ছাড়াও মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে মাঠে নেমেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ সাজেমান আলী, প্রচার সম্পাদক আহসানুল হক স্বপন ও কাউন্সিলর আমির হোসেন আমিন।তবে এদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে তপন বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম তপনমুখী।স্থানীয়রা বলছে, শরিফ খাঁন অনেকটা আর্থিক ভাবে দুর্বল, আর স্বপন-সাজেমানের তেমন জনপ্রিয়তা ও কর্মী বাহিনী নাই তারা অনেকটা জনবিচ্ছন্ন, কাউন্সিলর আমিন নিরক্ষর এসব বিবেচনায় তাদের দিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় প্রায় অসম্ভব, সেই বিবেচনায় তপন অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। যদিও সবকিছু নির্ভর করছে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার ওপর। কারণ মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে জয়-পরাজয় এই দুই রাজনৈতিক রথী-মহারথীর ওপর অনেকটা নির্ভর করছে, তারা যাকে সমর্থন করবেন তিনিই বিজয়ী হবেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে আওয়ামী লীগের ডজন খানেক নেতা প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়ে বগী আওয়াজ করে মাঠে নামলেও ধীরে ধীরে উধাও এখন কেবল মাত্র তপন মাঠে রয়েছে।স্থানীয়রা জানান,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বাঁধাইড় ইউপির তিন বারের চেয়ারম্যান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রয়াত অধ্যাপক লুৎফর রহমানের পুত্র হিসেবে পৌর এলাকায় তপনের একটা বিশেষ পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এসব বিবেচনায় তপনকে “পৌর পিতা” হিসেবে দেখতে চাই পৌর-সেবা থেকে বঞ্চিত, নিপিড়ীত, লাঞ্চিত, উপেক্ষিত ও অবহেলিত মুন্ডুমালার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। পৌরবাসীর অভিমত, পৌর এলাকায় তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে তপনের জনপ্রিয়তা বর্তমান মেয়র গোলাম রাব্বানী ও তার ঘনিষ্ঠ সহচর নৈশপ্রহরী সাইদুর রহমানের থেকে অনেক বেশী।যে কারণে তাদের নেপথ্যে মদদে মেয়র পন্থী বলে পরিচিত বিএনপি-জামাত অনুগত একশ্রেণীর জনবিচ্ছিন্ন বিতর্কিতরা তপনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।স্থানীয় সুত্রের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, আপমর জনগোষ্ঠী এবং পৌর এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষ চাই না আর কোনো রাজনৈতিক বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক মিরজাফর, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার পুত্র এবং খন্দকার মোস্তাকের প্রেতাত্ত্বা অনুসারী নেতৃত্বে এসে পৌরসভাকে কুলষিত করুক। তারা আর চাই না সেই নেতৃত্ব যেই নেতৃত্ব মেয়রের চেয়ারে বসে নিজ পৌরসভাকে উন্নয়ন বঞ্চিত রেখে কন্দপুর, মালশিরা, ছাঐড় এবং গোদাগাড়ীর ললিতনগর, আইহাইরাহী, কাঁকনহাট ইত্যাদি এলাকায় লোক দেখানো উন্নয়নের নামে নিজের স্বার্থ হাসিলে পৌরসভার অর্থ লোপাট করুক। তারা বলেন, অনেক দেখেছি একটি বার প্রয়াত নেতা লুৎফর রহমানের উত্তরসুরি তরুণ ও মেধাবী নেতৃত্ব আরিফ রায়হান তপনকে মেয়র করে দেখা যাক কি হয়